
সাধারণত পাকস্থলীর এপিথেলিয়াম লাইনিংয়ে ক্যানসারের বৃদ্ধি হলে তাকে পাকস্থলীর ক্যানসার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পেটে ব্যথা, খাবারের অরুচি, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে কয়েকটি। তো চলুন জেনে নিই পাকস্থলীর ক্যান্সার সম্পর্কে।
কেন পাকস্থলীতে ক্যানসার হয়?
প্রত্যেকটি মানুষেরই পাকস্থলী থাকে যেখানে খাদ্য জমাহয় ও হজমের কার্যাদি সম্পন্ন হয়। পাকস্থলীর ভেতরের যে লাইনিং এপিথিলিয়াম (আস্তরণের উপবৃত্ত) এখানে যখন ক্যানসারের বৃদ্ধি হয়, একে পাকস্থলীর ক্যানসার বলা হয়ে থাকে। পাকস্থলী ক্যান্সারের প্রধান ঝুঁকিপূর্ণ একটি কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। খাদ্যাভ্যাস এর পাশাপাশি একটি ব্যাক্টেরিয়া আছে যা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর নাম হলো হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি ব্যাকটেরিয়া।
পাকস্থলী ক্যান্সারের কারণগুলো:
- বেশি মশলাযুক্ত খাবার
- বেশি পরিমাণ ঝাল জাতীয় খাবার খাওয়া
- শুকনো মরিচ বেশি ব্যবহার করা
- প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া ইত্যাদি
পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মূলত খাদ্যাভ্যাস ও ব্যাকটেরিয়া এ দুটোই পাকস্থলীর ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ।
লক্ষণগুলো জেনে রাখুন:
সাধারণত পাকস্থলীতে ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে শুরুর দিকে যে লক্ষণগুলো নিয়ে দেখা যায় সেগুলো হলো
- পেটে ব্যথা
- খাওয়ার অরুচি
- হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
এ ধরনের লক্ষণগুলোই সাধারণত শুরুর দিকে দেখা যায়। আর পরের দিকে রোগটা যখন বেড়ে যায়, তখন দেখা যায়, রোগীর আরো নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে, খেতে গেলে বমি হয় বা বমি বমি ভাব হওয়া। কারণ, যেদিক দিয়ে খাবারটা পরিবাহিত হবে, সেদিক দিয়ে কাজটি করতে পারে না। কিংবা পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া বা কালো পায়খানা হওয়া- এ ধরনের লক্ষণগুলো সাধারণত পাকস্থলীর ক্যানসারের রোগীদের মধ্যে প্রাথমিক অবস্থায় দেখা দেয়। অনেকেই পাকস্থলীর ক্যানসারে ভোগে থাকেন । আর এর পেছনে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস ও হেলিকোব্যাক্টার পাইলোরি নামক ব্যাক্টেরিয়াই প্রাধন কারণ। তাই এই ক্যান্সার থেকে বাঁচতে অবশ্যই নিয়মিত ও পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস করতে হবে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে। আর অবশ্যই যথাসম্ভব খাবারে ঝাল কমাতে হবে এবং শুকনা মরিচের ব্যবহারও খাবারে যথাসম্ভব কমাতে হবে।
medicalbd সাস্থের সকল খবর।
