আপনি সার্বক্ষণিক ভালো মানুষ কিন্তু যখনি রেগে যান, ঠিক তখনই বিপদ। রাগ ডেকে আনে নানা শারীরিক বিপদও। যখন তখন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য রাগ মাথার উপর চাপ ফেলে। রক্তচাপ বাড়ায়। স্ট্রোকও ডেকে আনতে পারে যখন তখন। যখন শান্ত হোন তখন ঠিকই উপলব্ধি করেন যে রাগের কারণে কি ভুল বা ক্ষতিটাই না আপনার হল। কিন্তু শত চেষ্টারও পরও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন? তবে চলুন জেনে নিই ঠিক কি কি ধরণের খাবারগুলো আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করবে মানে আপনার মাথা ঠান্ডা করতে সহায়তা করবে। সংক্ষিপ্ত বর্ণনা সহ ধারাবাহিকভাবে জেনে নিই। যেগুলো খেলে আপনার মাথা ঠান্ডা থাকবে আর হঠাৎ হঠাৎ রেগে যাওয়ার ঘটনাও ঘটবে না- তার মধ্যে প্রথমেই আছে আইসক্রিম।
আইসক্রিমের ভূমিকা
মেজাজ খারাপ থাকলে যে কোনো বিষয়েই চট করে মাথা গরম হতে পারে। তাই মেজাজ ভালো রাখতে আইসক্রিম খান। এটি থ্রমবোটনিন হরমোন ক্ষরণ করতে সাহায্য করে। এই হরমোন ক্ষরণে মন খুশি থাকে।
কলার ভূমিকা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ও পটাশিয়াম। এই দুই উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করতে সহযোগিতা করে। ফলে চট করে রেগে যাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়। তাই চেষ্টা করুন নিয়মিত কলা খাওয়ার।
চকোলেটের ভূমিকা
রাগ নিয়ন্ত্রণে চকোলেট খুবই ভালো কাজ করে থাকে। যারা চট করে রেগে যান তারা আসলে উদ্বেগেও ভোগেন। নিজেকে নিয়ে টেনশন সবচেয়ে বেশি এই ধরণের লোকদের। তারা চকোলেট খেতে পারেন। চকোলেট স্ট্রেস হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়। ফলে মাথা শান্ত থাকে। ডার্ক চকোলেট খেলে আরও ভালো ফল পাবেন।
গ্রিন টি‘র ভূমিকা
মাথা ঠান্ডা রাখতে গ্রিন টি বেশ কার্যকরী। মেজাজ খারাপ থাকার জন্য যদি কাজে মন না দিতে পারেন, তাহলে এককাপ গ্রিন টি খেয়ে নিন। আপেল ও পিনাট বাটার: আপেলে কার্বহাইড্রেট থাকে আর পিনাট বাটার ফ্যাট-সমৃদ্ধ। এই দুইয়ের মিশেলে কমতে পারে রাগ। তাই আপেলের সঙ্গে পিনাট বাটার মাখিয়ে খেতেই পারেন। এতে মাথা ঠান্ডা হবে।
আলুর ভূমিকা
আলুতে কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন বি থাকে, যা রক্তচাপ কমায় ও স্ট্রেস কমায়। তাই ডায়েটে আলু অবশ্যই রাখুন। ভালো ফল পাওয়ার জন্য সেদ্ধ আলুও খেতে পারেন।