
রোগ-জীবাণু কতক্ষণ বাঁচে?
কথা বলার সময় টেলিফোন বা মুঠোফোনে আমাদের মুখের কিছু ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস লেগে যায়। দরজার হাতলেও অনেক সময় অন্যের হাত থেকে রোগ-জীবাণুু লেগে থাকে। তবে ওই সব বস্তুর ভেজা ও স্যাঁতসেঁতে ভাব চলে গেলে জীবাণুগুলো খুব তাড়াতাড়ি মরে যায়। মুখের লালা থেকে যেসব জীবাণু ছিটকে বেরোয়, তার ক্ষতিকর প্রভাব দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে চলে যায়। কারও বাসায় যদি হেপাটাইটিস রোগে আক্রান্ত কেউ থাকে, তা হলে বাসার দরজার হাতলে সেই ভাইরাসের প্রভাব কয়েক মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকতে পারে।
অনেক সময় একই চেয়ার-টেবিল একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করেন। তাঁদের অনেকের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ওই সব আসবাবে লেগে যায়। সেগুলো আবার অন্যের হাতে যায়। বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর আয়ু বিভিন্ন মেয়াদের হয়। কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা, দিন বা কয়েক মাসও হতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকেরা দিনের মধ্যে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পরামর্শ দেন; বিশেষভাবে খাওয়ার আগে হাত ধোয়া উচিত। হাত দিয়ে চোখ মোছার অভ্যাস থাকলে চোখের রোগ দেখা দেয়। বারবার চোখে হাত বা আঙুল ছোঁয়ানোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে। এভাবে কিছু অসুখ-বিসুখ সহজেই কমিয়ে আনা যায়। ঠান্ডা-জ্বর সাধারণত হাত থেকে মুখে বা হাত থেকে চোখে ছড়ায়। তাই এর প্রকোপ দেখা দিলে নিজের চোখ-মুখ থেকে নিজের হাত দূরে রাখাই ভালো।