শিশু খাদ্য: বিষয়ে থাকুন সতর্ক

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

শিশু খাদ্য: বিষয়ে থাকুন সতর্ক

শিশু খাদ্য:

জন্মগ্রহণের পর নবজাতকের জন্য মায়ের দুধই শ্রেষ্ঠ খাবার। এ সময় প্রতিবার কাঁদলেই শিশুকে দুধ খাওয়াতে হবে, অর্থাৎ খাওয়ানোর কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকবে না। কিন্তু শিশু যখন ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়াতে হবে। এ সকল খাবারকে পরিপূরক খাবার বলা হয়। শিশুর পাঁচমাস বয়স হবার পর হতে পরিপূরক খাবার দেওয়া জরুরি। শিশুর পরিপূরক খাবারের জন্য নিম্নলিখিত বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার:

ক)   খাবার পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে;

খ)   খাবার পাতলা (তরল) বা থকথকে ঘন হবে;

গ)   মসলা, রং ও সুগন্ধি ছাড়া হবে;

ঘ)    মিষ্টি ও লবণ যতটুকু সম্ভব কম দিতে হবে;

ঙ)   ফলের রস ছেঁকে আঁশমুক্ত করে খাওয়াতে হবে;

চ)    কোনো বিশেষ খাবার যদি না খেতে চায় তবে তা বাদ দিতে হবে এবং মাঝে মাঝে নতুন খাবার দিতে হবে;

ছ)   নির্দিষ্ট পরিমাণে ও সময়ে খাবার খাওয়াতে হবে।

বিভিন্ন বয়সের বাচ্চাদের খাবারের তালিকা:

৫-৬ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য: ৫-৬ মাস বয়স হলেই বুকের দুধের পাশাপাশি শিশুকে পরিপূরক খাবার খাওয়ানো শুরু করা উচিত। এ সময় দুধের সঙ্গে কলা চটকিয়ে অথবা দুধ দিয়ে সুজি রান্না করে শিশুকে খাওয়ানো আরম্ভ করা যায়। চালের গুঁড়া, আটা, ইত্যাদি সিদ্ধ করে দুধ দিয়ে পাতলা করে রান্না করে শিশুকে দেয়া যেতে পারে। মৌসুমি ফল যেমন পাকা কলা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি ফল শিশুকে দেওয়া যায়।

৬-৯ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য: এই বয়সে শিশু কিছুটা পরিপক্ব হয় এবং ফল ও অন্যান্য শস্যজাতীয় খাবার খেতে পারে। তাই সিদ্ধ আলু, মৌসুমি সবজি সিদ্ধ করে চটকিয়ে শিশুকে খাওয়ানো যায়। যেমন: ফুলকপি, গাজর, মটরশুটি, বরবটি, শিম, পটল, পেঁপে ইত্যাদি। শিশুর খাবার সামান্য তেল দিয়ে রান্না করে শিশুকে খাওয়াতে হবে।

৯-১২ মাস বয়সের শিশুর খাদ্য: এই বয়সে প্রায় বড়দের মতো খাবার শিশুকে খাওয়ানো যায়। তাই শিশুর খাবার আরো ঘন করতে হবে এবং পরিমাণে বাড়াতে হবে। নরম খিচুড়ি, সিদ্ধ ডিম, সিদ্ধ সবজি ও আলু, ডাল-ভাত, দুধ, রুটি, দই, ক্ষীর ইত্যাদি শিশুর জন্য খুবই উপকারী এবং পুষ্টিকর। এ সময় শিশুকে ৪-৫ বার খাওয়ানো দরকার।

বিভিন্ন বয়সের শিশুর দৈনিক খাদ্যের পরিমাণ

খাদ্য শ্রেণী: প্রাক-বিদ্যালয় শিশু বিদ্যালয়গামী শিশু

১-৩ বছর        ৪-৬ বছর        ৭-৯ বছর        ১০-১২ বছর

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার              ২০০ গ্রাম        ২০০ গ্রাম        ২০০ গ্রাম        ২০০ গ্রাম

ডিম (সপ্তাহে ৪ দিন)                ১টি                  ১টি                  ১টি                  ১টি

মাছ-মাংস                               ৩০                  ৩০                  ৫০                 ৫০

ডাল                                        ১০                   ২০                  ৩০                 ৩০

বাদাম (মাঝে মাঝে)                  ১০                  ২০                   ২০                 ৩০

ফল                                         ৪০                  ৫০                  ৫০                  ৭০

সবুজ শাক                               ২০                  ৩০                  ৫০                  ৫০

চাল                                         ১০০                 ১৫০                ১৭০                 ২০০

আটা                                       ৩০                  ৩০                   ৫০                  ৭০

আলু                                        ২০                   ২০                   ৩০                 ৫০

চিনি বা গুড়                            ২০                   ২৫                  ৩০                  ৩০

তেল বা চর্বি                             ১৫                   ২০                   ২৫                  ২৫

আরও পড়ুনঃ শিশুদের জ্বরের কারণে খিঁচুনি।

গণ সচেতনতায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

3 × 5 =