মুখ গহবরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

মুখ গহবরের স্বাস্থ্য সুরক্ষা

সঠিকভাবে ব্রাশ করা:

মুখ গহবর পরিষ্কার রাখতে নিয়মিত সঠিক উপায়ে দাঁত ব্রাশ/মাজা এর জুড়ি নেই। ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ রক্ষায় নিয়মিত দুইবার দাত ব্রাশ করা জরুরি। ব্যস্ততার কারণে যদি দুইবার দাত ব্রাশ করা অসম্ভব হয় সেক্ষেত্রে কিছুক্ষণ পরপর পরিষ্কার পানি দ্বারা কুলি করা শ্রেয়। এতে মুখের মধ্যকার ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে লাগাম দেয়া সম্ভব।

নিয়মিত ফ্লসিং করা:

ফ্লসিং খুবই জরুরি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে মুখ গহবরের অভ্যন্তরীন জমে থাকা খাদ্য কণা ও ক্ষতিকারক দ্রব্য সরিয়া আনা সম্ভব। সাধারণত যে সকল বস্তু ব্রাশিংয়ের মাধ্যমে সরানো কষ্টকর ফ্লসিং সে সকল বস্তুকে নিমিসেই সরিয়ে দেয়। ফ্লসিং দুই দাঁতের মাঝে স্থানে পৌঁছায় যেখানে সাধারণ ব্রাশ কখনই পৌঁছায় না। তাই ডাক্তারের মতে দৈনিক একবার ফ্লসিং করা শ্রেয়।
নিচের ছবিতে ফ্লসিং সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হলো: ধূমপান বর্জন:

সুস্থ দাঁতের জন্য ধূমপান বর্জন করা সবচেয়ে ভালো কাজ। ধূমপানের জন্য দাঁত ও মাড়ির নানা জটিলতা হতে পারে। যার মধ্যে ক্যান্সার অন্যতম। তার সাথে দাঁত হতে রক্ত পড়া, মাড়িতে ব্যথা, মুখে দুর্গন্ধ ইত্যাদিতো রোজকার সমস্যা।

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ:

সুস্থ দাঁতের জন্য ক্যালসিয়াম খুবই দরকারি। তাছাড়া হাড় ও সাথে দাঁতের গঠনের জন্য ক্যালসিয়াম কাজ করে। ক্যালসিয়াম প্রকৃতিতে বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যায়। যেমন- অরেঞ্জ জুস, দুধ, মাখন, ব্রকলী, দই এবং অন্যান্য দুগ্ধ জাতীয় খাবারে। তাছাড়া ভিটামিন বি কমপ্লেক্স আমাদের দাঁতের মাড়ির সুরক্ষায় ও রক্ত পড়া বন্ধে কাজ করে। সাথে জিঙ্ক, কপাত, পটাসিয়াম ও আয়রন দাঁতের সুরক্ষায় দরকারি।

নিয়মিত ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হওয়া:

সুস্থ জীবন-যাপনের লক্ষ্যে বছরে কমপক্ষে অন্তত দুইবার ডেন্টিস্ট দেখানো উচিত। এক্স-রে এর মাধ্যমে দাঁতের অস্বাভাবিক ক্ষয়রোধে কাজ করা প্রয়োজন। তা নাহলে অকালে দাঁত হারাতে হবে।  — ডা: মো: রহমত উল্লাহ শুভ

আরও পড়ুনঃ সুস্থ দাঁতের জন্য খাবার।

গণ সচেতনতায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

fourteen − 7 =