
পেটের গোলযোগে যে সকল খাবার নিষেধ
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। রসনাবিলাস হলো প্রত্যক্ষ সুখভোগ। আর এই সুখভোগ যদি অনিয়ন্ত্রিত হয় তবে দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না। বর্তমানে মানুষের শারীরিক সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হলো পেটের রোগ। পেটের গোলযোগ থেকেই জন্ম নেয় অারো শারীরিক সমস্যার উপসর্গ অথচ আমরা যদি খাওয়া-দাওয়া বিষয়ে প্রাচীন শাস্ত্র মেনে চলতে পারি তাহলে খুব সহজেই এই রোগের প্রকোপ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। পেটের গোলযোগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনেনেইঃ
০১. স্বাভাবিক খাবার খাবেন।
০২. দুধ ও দুধের তৈরি খাবার নিষেধ।
০৩. শাক খাবেন না।
০৪. চা-কফি, চকোলেট এ্যালকোহল খাবেন না।
০৫. আলগা লবণ খাবেন না।
০৬. ধূমপান করবেন না। ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করবেন।
০৭. জর্দা-গুল-তামাকপাতা নিষেধ।
০৮. চর্বি সমৃদ্ধ খাবার (চতুস্পদ জন্তুর মাংস, কলিজা, ডিম, দুধের সর, ঘি, মাখন, পনির, চিংড়ি মাছ, নারিকেল) খাবেন না।
০৯. চিনি-মিষ্টি খাবেন না।
১০. নিয়ন্ত্রিত আহার ও নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন কমাবেন।
১১. আমিষ জাতীয় খাবার (মাছ, মাংস, ডিম, দুধ) পরিমাণে কম খাবেন।
১২. পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজী, ফলমূল খাবেন।
১৩. ডাল, ছোলাবুট, সীমের বিচি, পুঁইশাক, ফুলকপি, সামুদ্রিক মাছ, লাল মাংস খাবেন না।
১৪. ধূলা-বালি, ধূলা ঠান্ডা থেকে সর্তক থাকবেন।
১৫. ইনহেলার নেয়া শেষে গরগরা করবেন।
১৬. উষ্ণ পানি দিয়ে দিনে ৩ বার গরগরা করবেন।
১৭. ঘুমের ওষুধ/ব্যথানাশক ঔষধ/চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাবেন না।
১৮. জ্বর মেপে চার্ট করবেন। জ্বর ১০১’ এর বেশী হলে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে রোগীর সারা শরীর মুছে দিবেন এবং বাতাস করবেন।
১৯. বিশ্রামে থাকবেন।
২০. নির্দেশিত নিয়মে ব্যায়াম করবেন।
২১. উপুড় হয়ে/মেরুদন্ড বাঁকা করে কোন কাজ করবেন না।
২২. ভারী জিনিস বহন করবেন না ও উপরে উঠাবেন না।
২৩. রোজ অন্ততঃ ৩০-৪০ মিনিট জোরে হাঁটবেন।
২৪. খাবার ১ ঘন্টা পর পানি খাবেন।
২৫. ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘন্টা পূর্বে রাতের খাবার খাবেন।
২৬. দুপুরের খাবারের পর পর ঘুমাবেন না।
আরও পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কি? এর কারণ, প্রতিরোধ এবং প্রতিকার।
মেডিকেলবিডি ডট ইনফো (www.medicalbd.info) প্রচারিত সকল তথ্য সমসাময়িক বিজ্ঞানসম্মত উৎস/ সরাসরি ডাক্তার থেকে সংগৃহিত এবং এসকল তথ্য কোন অবস্থাতেই সরাসরি রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত নয়। জনসাধারণের স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি মেডিকেলবিডি ডট ইনফো (www.medicalbd.info) লক্ষ্য।