তেলাপিয়া মাছ বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

তেলাপিয়া মাছ বাড়ায় ক্যান্সারের ঝুঁকি

বাজারে সারা বছর পাওয়া যায়, এমন মাছের মধ্যে তেলাপিয়া অন্যতম। এটি মাছে-ভাতে বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় একটি মাছ। পুষ্টিবিদদের মতে, এ মাছের পুষ্টিগুণ অসাধারণ! শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের ১৩৫টিরও বেশি দেশে তেলাপিয়া মাছের চাষ হয়। তেলাপিয়ায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি-১২, ফসফরাসের মতো একধিক অপরিহার্য উপাদান।

তবে সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় তেলাপিয়া মাছের বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর দিক সামনে এসেছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর থেকে হাড়ের ক্ষয়, হাঁপানি এমনকি ক্যান্সারের মতো মারণ রোগও শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (USDA) গবেষকদের দাবি, তেলাপিয়া মাছ খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এশিয়া (আমেরিকায় আমদানি হওয়া তেলাপিয়া মাছের ৭০ শতাংশই আসে চিন থেকে) আমদানি করা তেলাপিয়া মাছের শরীরে মিলেছে মারাত্মক বিষ। গবেষকদের দাবি, মাছ চাষের সময় হাঁস, শুকুর বা মুরগির দেহাবশেষ খেয়ে এই মাছগুলো দ্রুত বেড়ে ওঠে আর একই সঙ্গে হয়ে ওঠে বিষাক্ত।

বিজ্ঞানীদের দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তেলাপিয়া মাছ চাষের সময় অত্যাধিক পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়। তেলাপিয়া চাষের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিকের মধ্যে ‘ডিবিউটিলিন’ (Dibutylin) নামের এক ধরনের রাসায়নিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন মার্কিন গবেষকরা। প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিস তৈরির ক্ষেত্রেও এই ‘ডিবিউটিলিন’-এর ব্যবহার করা হয়। মার্কিন গবেষকদের দাবি, এই ‘ডিবিউটিলিন’ মানব শরীরে প্রবেশ করলে স্থুলতা (ওবেসিটি), হাঁপানি, অ্যালার্জি এবং নানা রকমের বিপাকীয় রোগ বাসা বাঁধতে পারে।

এছাড়া তেলাপিয়া চাষের জন্য ব্যবহৃত ওষুধে ‘ডাইঅক্সিন’ নামের এক ধরনের রাসায়নিকের উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (USDA) গবেষকরা যা মানব শরীরে প্রবেশ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)-এর একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ৮০০-র বেশি নমুনা পরীক্ষা করে তেলাপিয়া মাছে ‘ডিবিউটিলিন’ এবং ‘ডাইঅক্সিন’ নামের মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমান মিলেছে। তাই সুস্থ, নিরোগ শরীর ধরে রাখতে যতটা সম্ভব কম খান তেলাপিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

five × 2 =