বন্ধু বা সঙ্গী নির্বাচনে নারীদের সব সময় সতর্কতা প্রয়োজন। নইলে বিপদে পড়তে হতে পারে। অথবা জীবন হয়ে উঠতে পারে ঝামেলাপূর্ণ। পুরুষদের কয়েকটি চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছে। এসব বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পুরুষদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
আমি শুধুই আমি
হয়তো আপনি সঙ্গীর সঙ্গে কোনো রেস্তোরাঁয় গেছেন। তিনি আপনাকে খাবারের তালিকা দেখতে দিলেন। কিন্তু নিজের পছন্দ অনুযায়ীই খাবারের ফরমাশ দিলেন। ফোনে কথা বলছেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি কেবল নিজের কথাই বলে গেলেন। তাঁর দিন কেমন কাটল, জীবনের লক্ষ্য কী—এসব শুনতে শুনতেই কেটে গেল সময়। এ রকম আত্মসর্বস্ব পুরুষকে সঙ্গী করলে বাকি জীবনটা অসুখীই হবেন।
ক্ষণে ক্ষণে মনবদল
এই দেখলেন বন্ধু বা সঙ্গী আপনার খুব যত্ন নিচ্ছেন। নিমেষেই বদলে গেল আচরণ। আপনার খোঁজই নিলেন না তিনি। ক্ষণে ক্ষণে মন বদলানো পুরুষের সঙ্গে তাল মেলানো দায়। তাই তাঁদের এড়িয়ে চলাই নারীদের পক্ষে মঙ্গলজনক।
শিশুসুলভ
সঙ্গী পুরুষ সব সময় শৈশবের গল্প করছেন। আশা করছেন, মায়ের মতো তাঁর জুতো-কাপড় আপনি নির্বাচন করবেন। তাঁর খাবার আপনি রান্না করবেন। তাঁকে খাইয়ে দেবেন। এ ধরনের শিশুসুলভ পরনির্ভরশীলতা যেসব পুরুষের রয়েছে, তাঁদের ত্যাগ করাই শ্রেয়।
অতি আবেগ
কোনো কিছুর বাড়াবাড়ি ভালো নয়। আপনার পুরুষ সঙ্গী কি সব সময়ই অনিরাপদ বোধ করেন? সন্দেহে ভোগেন? আবেগে ডগমগ করেন? এ রকম পুরুষ সব সময়ই আপনাকে খড়কুটো হিসেবে আঁকড়ে ধরতে চাইবেন। সব ক্ষেত্রে সেটি হওয়া আপনার জন্য বিরক্তিকর। তাই তাঁদের এড়িয়ে চলাই ভালো।
গায়ে পড়া
সব নারীর সঙ্গেই আপনার পুরুষ সঙ্গীটি মাখামাখি করতে পছন্দ করেন। অযথা বেশি বেশি গায়ে পড়া ভাব দেখান। অভ্যর্থনাকারী, পরিচারিকা, অপরিচিত, এমনকি প্রিয় বন্ধুটিও বাদ যান না আপনার সঙ্গীর এই আচরণ থেকে। কেবল যৌন বিষয়েই আগ্রহ থাকে এ ধরনের পুরুষদের। নারীদের তাঁরা ভাবেন ভোগ্যবস্তু। এ রকম সঙ্গী থেকে দূরে থাকুন।
একঘেয়ে
এ ধরনের পুরুষের কাজকর্ম ছকবাঁধা রুটিনে বাঁধা থাকে। কোনো বৈচিত্র্য বা চমক নেই। তিনি আগে পরিকল্পনা করেন এবং সে মাফিক চলেন। তাই কখন কী করবেন, আপনি সহজেই আঁচ করতে পারবেন। নিয়ম মেনে তাঁদের সঙ্গে জীবন কাটানোও বিরক্তিকর। তাই এড়িয়ে চলুন তাঁদের।