নিরাপদ পানির তীব্র সংকটে কর্ণফুলী- উত্তরণের পথ খুঁজছে জনস্বাস্থ্য

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

জে.জাহেদ, মেডিকেল বিডি প্রতিনিধি: ‘আমরা মৌলিক চাহিদার খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান চাই না, কোনো রকমে বেঁচে থাকার জন্য একটু সুপেয় নিরাপদ পানি চাই।’ আবেগজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের মাদ্রাসা গ্রামের গৃহিনী খাদিজা বেগম (৪২)। তিনি একা নন, তার মতো গোটা উপজেলাবাসী সুপেয় পানির নানা কষ্টের কথা তুলে ধরলেন যথাক্রমে: যুবলীগ নেতা মুহাম্মদ সেলিম হক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম মঈন উদ্দীন, ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফরিদ জুয়েল, সাবেক ইউপি সদস্য এসএম কালা মিয়া মেম্বার, ছাত্রলীগ নেতা সালাহ উদ্দীন সাদ্দাম ও নুরুল হক চৌধুরী সহ প্রমূখ।

জানা যায়, কর্ণফুলীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সুপেয় পানি নিয়ে বিপাকে রয়েছেন পাঁচ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। কর্ণফুলীতে সুপেয় নিরাপদ পানির একমাত্র উৎস ৬৫% অগভীর নলকুপে আর সহজে পানি আসেনা। পাশের বাড়ির গভীর নলকূপ কিংবা বরফ কলের পানি কিনে ব্যবহার করে কাটছে অনেকের জীবন। আনুমানিক ১৯৯৪ কিংবা ১৯৯৮ সালের দিকে গ্রামের মানুষেরা পানির সহজ স্তর ৩০/৩৫ ফুট মাটির নিচে সুপেয় পানির সন্ধান পেত কিন্তু তা আজ হারিয়ে গেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে চরলক্ষ্যার ওমর ফারুক ও ওয়াজ উদ্দীন আজাদ বলেন, বর্তমানে ৮০০/৯০০ ফুট গভীরে গেলেও খাবার পানি মিলছেনা। ফলে জোয়ারের পানিতেই তারা গোসল ও গৃহহস্তির নানা কাজ সারছে বলে জানান।’

গ্রামের লোকজন মাইলের পর মাইল হেঁটে কলসি করে, কেউ কেউ ভ্যানে করে পানি সংগ্রহ করেন। বিশুদ্ধ পানির অভাবে গ্রামাঞ্চলের কিছু মানুষ নদীর লবণাক্ত পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে খাওয়া ও রান্নাবান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। এছাড়া কিছু কিছু পুকুরের যৎসামান্য পানি আছে তাতে শেওলার দুর্গন্ধ হলেও তা বাধ্য হয়ে ব্যবহার করায় অনেকে পানিবাহিত রোগ পেটের পীড়াসহ, ডায়রিয়া ও আমাশয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা জানান, ভৌগোলিক কারণে এ উপজেলা সমুদ্র উপকূলীয় কর্ণফুলী নদী মোহনায় অবস্থিত। বছরের প্রায় ১২ মাসই এলাকাবাসীকে নদীর পানির চারপাশে বসবাস করতে হয়। উপজেলায় বেশির ভাগ মানুষকে বিশুদ্ধ খাবার পানি জন্য অন্যের জলসীমা ও লাইনের কেনা পানির ওপর নির্ভরশীল করতে হয়।’

গ্রামাঞ্চলের খাবার ও রান্নাবান্না করার একমাত্র উৎস পুকুরগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় পঁচা দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকের বাসা ভাড়িতে বসানো সাধারণ টিউবওয়েল গুলো ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় বেশির ভাগ নলকুপগুলো অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে বিগত ১০/১৫ বছরেরও অধিক সময়ে সাধারণ টিউবওয়েলে পানি ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করে। অভাবে পড়ে সুপেয় পানির। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এ সমস্যা। সূত্রমতে, কর্ণফুলী উপজেলায় লক্ষাধিক লোকের বসবাস হলেও প্রায় ৬৫% ভাগ মানুষের জন্য সুপেয় পানির কোন ব্যবস্থা নেই। অথচ ২১ বছর আগেও এ অঞ্চলে যখন নদীর পানির সরাসরি অনুপ্রবেশ ছিল শাখা খাল গুলোতে তখন সুপেয় পানির কোন ঘাটতি ছিল না।

তথ্যমতে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের দিকে কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের আজিমপাড়ায় ‘রনসন’ নামে এক ফ্যাক্টরী গড়ে ওঠে। যা পরবর্তীতে গোল্ডেনসন নাম ধারণ করে। সে সময় রনসন ফ্যাক্টরীতে মাটির গভীর থেকে পানি তোলার জন্য একটি ডীপ বসানো হয়। এলাকাবাসীর ধারণা এর পর হতে সৈন্যেরটেক ও চরপাথরঘাটার আশেপাশে ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে সুপেয় পানির উৎস গুলো এবং শুকিয়ে যায় ভূ-গর্ভের পানি। উপজেলায় প্রত্যন্ত গ্রামে হাতেগুনা কয়েকটি জায়গায় সুপেয় পানির কিছুটা উৎস থাকলেও মিল কারখানায় ঘেরা শিকলবাহা, চরপাথরঘাটা, বড়উঠান ও জুলধা ইউনিয়নে সুপেয় পানি বলতে কিছুই নেই। বিত্তশালীদের কয়েকজন বাড়ির সামনে মোটর চালিত গভীর নলকূপ বসানোর কারণে এসব এলাকার মানুষেরা কিছুটা হলেও আশ্রয় পেয়ে নিরাপদ পানি সংগ্রহ করছে বলে জানায়। যদিও তা পর্যাপ্ত নয়।

শিকলবাহার জরিনা খাতুন বলেন, প্রায় দেড় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে মসজিদ হতে পানি সংগ্রহ করি। পানি আনতে গিয়ে দিনের অধিকাংশ সময়ই চলে যায়। ফলে দিনের অর্ধেকটা ব্যয় করতে হয় পানির জন্য। এভাবেই চলতি চৈত্র মাসের অসহ্য গরমে তীব্র পানি সংকটের মধ্যে দিয়ে জীবন ধারন করছে গোটা কর্ণফুলীবাসী। কেন কর্ণফুলীতে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর কমে যাচ্ছে? এটা কী মানবসৃষ্ট কোন কারণ না অন্য কিছু? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে পাঁচটি ইউনিয়নের অধিকাংশ সাধারণ মানুষেরা আমাদের কিছু তথ্য দিয়েছেন। যা আমলে নেওয়ার মতো তাদের কথায় রয়েছে অনেকটা যুক্তিনির্ভও বলে মনেহয়।

তার কারণ হিসাবে প্রধানত তারা জানায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন ও সরকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ার বিধি নিষেধ’কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেখানে সেখানে কর্ণফুলীতে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা। পাশাপাশি আনোয়ারা কর্ণফুলীতে কোরিয়ান ইপিজেড ও চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরী লিমিটেড (সিইউএফএল) পানি সংকটে বড় একটি ফ্যাক্টর বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। সাথে আইনের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র স্থাপন করা হচ্ছে বরফ কল ও ছোট বড় ফ্যাক্টরীতে গভীর নলকূপ।

এসব গভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে ভূ’গর্ভেস্ত পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। তাই সাধারণ নলকূপ থেকে পানি কম উত্তোলন হচ্ছে অথবা সাধারণ নলকূপ অকেজো হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় ৩০০/৪০০ ফুট গভীরে গেলেও পানি পাচ্ছে না খাওয়ার। সুপেয় পানির বেলায় মিলছে শুধু হাহাকার আর হতাশার বানী। জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার জুলধায় কিছুটা পানি ভালো। বড়উঠানে নলকূপ বসায় আর ওঠায়। শিকলবাহায় পানির দূর্দশা, চরলক্ষ্যায় পানি নিখোঁজ, চরপাথরঘাটায় টাকায় মিলে পানি।

স্থানীয়রা জানায়, নদীর পাশে চরপাথরঘাটার অবস্থান ফলে গড়ে ওঠেছে একাধিক বরফ কল আর পানি বেচাকেনার সিন্ডিকেট। এসব বরফ কলের মধ্যে রয়েছে এস আলম বরফ কল, নাহার আইস, জেকে বরফকল, আলি এন্ড ব্রাদার্স, রুমানা আইস, এমএন আইস, বাংলাদেশ আইস, সিমুজু কোম্পানী, ডালটা বরফকলের নাম উল্লেখযোগ্য। প্রতিদিন ভোরে এসব বরফকলে স্থাপিত গভীর নলকূপ থেকে ড্রামে পানি ভর্তি করে সোডিয়াম কার্বনেট পার অক্সিহাইড্রেট জাতীয় ঔষধ মিশ্রণ করে কিংবা অনেকে না করে বিভিন্ন ট্রলারে ও ভাড়া বাসায় বেচাকেনা করছে। ভ্রাম্যমান আদালত কিংবা অভিযান পরিচালনা না থাকায় এ সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছে পানি ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম ওয়াসাও এবিষয়ে অনেকটা উদাসীন বলে জানা যায়।

মাছ ধরার ট্রলারে ও বাসা বাড়িতে পানির চাহিদা থাকায় নামে বেনামে কর্ণফুলীতে গড়ে ওঠেছে অনেক অখ্যাত পানি কোম্পানী। প্রতিদিন যারা হাজার হাজার লিটার পানি মোটর দিয়ে উত্তোলন করছে। এর ফলে পানির স্তর নিচে নামছে। সাধারণ জনগণের কাছে পানি যাচ্ছেনা। সাধারণ টিউবওয়েলেও পানি নেই। সরকারী সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হয়েও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পারছেনা সঠিক সেবা দিতে। অপরদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. আবিদ হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে সরকারি উদ্যোগে উপজেলার দৌলতপুর গাবতল ২নং ওয়ার্ডে জনস্বার্থে গভীর টেস্ট টিউবওয়েল বসিয়ে এলাকার পানি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপিএইচই। কিন্তু পানি খাবার যোগ্য না হওয়ায় নতুন পদ্ধতিতে পানির ব্যবহার ও খাওয়ার উপযোগী করার প্রক্রিয়ায় কাজ করছে বলে তিনি জানান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভূ’গর্ভস্থ পানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে ১৯৮৬ সালে একটি অধ্যাদেশ জারি হয়। এ অধ্যাদেশ অনুযায়ী একটি গভীর নলকূপ থেকে আরেকটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা যেত ২৫০০ ফুট দূরত্বে। কিন্তু সরকারের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অপ ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) এক বির্তকিত প্রতিবেদনে সেই দূরত্ব কমিয়ে ১২০০ ফুট করা হয়। কিন্তু সেই আইনের তোয়াক্কা না করে কর্ণফুলীতে যত্রতত্র মিল কারখানায় ও ফ্যাক্টরীতে গভীর নলকূপ স্থাপন করছে। গড়ে ওঠছে অনুমোদনহীন বরফকল ফলে ভূ-গর্ভে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সাধারণ নলকূপ হারাচ্ছে পানি। উত্তোলন হচ্ছে না সুপেয় জল। সংকটে পড়ছে সাধারণ মানুষেরা। যা সংকট নিরসণে দাবি ওঠেছে।

সম্প্রতি কৃষি কাজে ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনা আইন-১৭ নামে একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রিসভা। সেই আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের লাইন্সেস ছাড়া নলকূপ স্থাপন করা যাবে না। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা কমিটি অনুসন্ধান করে নলকূপ স্থাপনের লাইন্সেস দেবেন। কিন্তু কর্ণফুলীর বেলায় কি হচ্ছে তা কেহ জানলেও সাধারণ মানুষের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থী তামজীদ ও জিসান জানান, যত্রতত্র গভীর নলকূপ স্থাপনের ফলে ভবিষ্যতে কর্ণফুলীবাসী বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়বে।

উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিশাল পানির চাহিদার বিপরীতে এ মুহূর্তে ৫৭টি গভীর নলকূপ বসানোর পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মজা পুকুরগুলো পুনঃখননসহ নতুন করে কমপক্ষে আরো কয়েকটি বড় পুকুর খনন ও স্বাস্থ্যসম্মত রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং প্লান্ট নির্মাণ জরুরি। এগুলো নির্মিত হলে এলাকাবাসীর পানির চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন। মইজ্জ্যারটেক শাহ আমানত ডায়গনিস্ট সেন্টারের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. তৈয়ব আলী বলেন, বর্তমানে ভ্যাপসা গরম আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা পর্যন্ত পেটের পীড়াসহ ডায়রিয়া, আমাশয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। সকলের সচেতনতা বৃদ্ধি ও বিশুদ্ধ পানির অভাব পূরণে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘সংকট সমাধানে নতুন উপজেলা হওয়া সত্বেও স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় ভূমিমন্ত্রীর সার্বিক সহযোগিতায় ইতিমধ্যে ৫৭টি গভীর নলকূপ স্থাপনে পরীক্ষামূলক কাছ চলছে। নিরাপদ পানির অভাব পুরণে প্রতিটি ইউনিয়নে দ্রুত সময়ে এসব টিউবওয়েল স্থাপন করা হবে। এছাড়াও আমরা চিন্তা করছি উপজেলা গভর্ন্যান্স প্রজেক্টর আওতায় প্রতিটি পুকুরের খননকাজ করার।’ এ ব্যাপারে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্ণফুলী উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী উত্তম কুমার মজুমদার বলেন, পানির সমস্যা বুঝতে পেরে সরকারী উদ্যোগে ৫৭টি গভীর নলকূপ বসানোর প্রকল্প হতে ৮টি নলকূপ ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে। বাকি গুলো বসানোর কাজ চলছে।’

তিনি আরো বলেন, এসব কাজ করতে গিয়ে দৌলতপুর গাবতলে একটি টেস্টটিউবওয়েল বসিয়ে পরীক্ষা করে দেখলাম তাতে ওয়াটার লেবেলে আর্সেনিক ও ক্লোরাইড এর পরিমাণ স্বাভাবিক ৩৫০ এর জায়গায় পাওয়া গেছে ১৮০০ মাত্রা। ফলে এ পানি খাওয়া যাবেনা কিছুতেই।’ এ জন্য সুপেয় পানি পেতে হলে এ সমস্ত জায়গায় ‘ক্লোরাইড এন্ড আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট’ বসানোর প্রয়োজন হবে। তবেই পানি পান করা যাবে আর নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

10 + sixteen =