ভাইরাল ওয়ার্টস বা আঁচিল হতে মুক্তিলাভ

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

ভাইরাল ওয়ার্টস বা আঁচিল হতে মুক্তিলাভ

ভাইরাল ওয়ার্টস বা আঁচিল এক ধরনের টিউমারের মত গ্রোথ। ত্বকের অংশ বিশেষ শক্ত, মোটা, খসখসে দানার মত বৃদ্ধি পায়। ভাইরাল ওয়ার্টস এইচপিভি বা হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস দ্বারা শরীরে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শেও এই ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট আঁচিল অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে আঁচিল বা ভাইরাল ওয়ার্টস-এ চুলকায়। তখন আক্রান্ত স্থান চুলকালে বা ঘসলে এই ভাইরাস ত্বকের স্বাভাবিক স্থানেও ছড়াতে পারে। শুরুতে আঁচিলগুলো ছোট, দানারমত থাকে এবং প্রাথমিক অবস্থায় তুলে ফেলা হলে আঁচিলের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।

আঁচিল গুলো সাধারনত: শক্ত ও খসখসে (ওয়ার্টি) থাকে। শরীরে নানা ধরণের ভাইরাল ওয়ার্ট হতে পারে। সাধারনত: আঙ্গুলের পিছনের দিক, বুড়ো আঙ্গুলের সামনেরর দিক, হাঁটু, পায়ের পাতায় আঁচিল দেখা দেয়। মুখে সাধারণত প্লেন ওয়ার্টস বেশী থাকে। যা শেভ করার সময় কেটে গিয়ে রক্ত ক্ষরণ হতে পারে। এছাড়া নখের পাশে পেরিঅঙ্গুরাল, আঁচিল, ঠোটের ওপরে ও মুখেও আঁচিল হতে পারে। আর জেনিটাল ওয়ার্টস বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড হয়। ওয়ার্টস বা আঁচিল অনেক ক্ষেত্রে ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে এবং বিব্রতকর হতে হয়। বিশেষ করে কালো খসখসে বড় আকৃতির শক্ত আঁচিলের ক্ষেত্রে।

আঁচিলের চিকিৎসা

বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আঁচিলের চিকিৎসা করতে চায়না কেউ। ফলে আঁচিল একদিকে যেমন বড় হয় অন্যদিকে তেমনি বড় আঁচিলের চিকিৎসায় ত্বকে ক্ষত তৈরী হতে পারে।

সাধারণত: কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ক্রায়োথেরাপি, ইলেকট্রথেরাপি, আরএফ সার্জারী অথবা সিওটু লেজার দিয়ে আঁচিলের কার্যকর চিকিৎসা করা যায়। অনেক সময় কম্বিনেশন চিকিৎসারও প্রয়োজন হতে পারে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসায় আঁচিল সম্পূর্ণ ভালো হয় এবং ভবিষ্যতে আর দেখা দেয়না। তবে অসম্পূর্ণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে আঁচিল আবার দেখা দেয়। তাই আঁচিলের যথাযথ চিকিৎসা নিতে পারলে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

মেডিকেলবিডি ডট ইনফো (www.medicalbd.info) প্রচারিত সকল তথ্য সমসাময়িক বিজ্ঞানসম্মত উৎস/ সরাসরি ডাক্তার থেকে সংগৃহিত এবং এসকল তথ্য কোন অবস্থাতেই সরাসরি রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত নয়। জনসাধারণের স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি মেডিকেলবিডি ডট ইনফো (www.medicalbd.info) লক্ষ্য।

আরও পড়ুনঃ নাক ডাকা সমস‍্যা, কি করবেন?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

seventeen + nine =