নারীদের বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ এন্ডোমেট্রিওসিস এবং তার প্রতিকার

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

বন্ধ্যাত্বের জন্য আসলে নারী-পুরুষ উভয়ই দায়ী থাকতে পারে । আবার বন্ধ্যাত্বেরও নানা কারণ থাকে। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে কয়েকটি সমস্যা থাকলে ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বেশি দেখা দিয়ে থাকে। তার মধ্যে একেবারে প্রথমেই আসবে এন্ডোমেট্রিওসিস-এর নাম।

কীভাবে বুঝবেন আপনার এন্ডোমেট্রিওসিস আছে কি নাই?

প্রাথমিক সমস্যা হচ্ছে পিরিয়ডের সময় পেটে ব্যথা। যেসব নারীর এন্ডোমেট্রিওসিস থাকে সাধারণত তাদের খুব বেশি রক্তপাত হয় পিরিয়ডের সময়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘প্রোগ্রেসিভলি ওয়ারসেনিং হেভি পেনফুল পিরিয়ড’। আবার রোগে ভূক্তভোগী নারীরা  যৌন সম্পর্কের সময়েও এই অস্বস্তিতে ভোগেন। এন্ডোমেট্রিওসিস বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ হতে পারে।

তাছাড়াও এই অসহ্য ব্যথাটা নারীদেরকে শারীরিক ও মানসিকভাবে  কাবু করে ফেলে, পেশাদার জীবন তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনেও তার প্রভাব পড়ে। যত দিন যায়, তত জটিলতা বাড়তে থাকে।

পেলভিক পেইন আর ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জের সমস্যা থাকলেও সতর্ক হতে হবে। সাধারণত এধরনের সমস্যা থাকলে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোনও পেলভিক ইনফেকশন আছে কিনা। ঋতুস্রাবের সময় পেলভিক ও তলপেট অঞ্চলে যন্ত্রণা হলেও ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এগুলি পেলভিক এন্ডোমেট্রিওসিসের লক্ষণ।

এন্ডোমেট্রিওসিস থেকে বাঁচতে যা যা করতে হবে:

  • ফ্রোজেন বা প্রসেসড খাবার চলবে না। এতে যে ধরনের প্রিজারভেটিভস বা রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়, তা থেকে এন্ডোমেট্রিওসিসের সমস্যা বাড়ে।
  • জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড, অর্থাৎ ল্যাবরেটরিতে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে তৈরি খাবারদাবার থেকে দূরে থাকুন।
  • জীবন থেকে প্লাস্টিক পুরোপুরি বাদ দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। বিশেষ করে টিফিন বাক্স, পানির বোতল, খাবার গরম করার পাত্র কোনওটাই যেন প্লাস্টিকের না হয়। প্লাস্টিকের সঙ্গে খাবারের, পানীয়ের বিক্রিয়া হয় এবং সেই কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের ফল ভোগ করে আপনার শরীর। এটা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রকাশিত ও প্রমাণিত সত্য। এমনকী খুব দামি বা ইম্পোর্টেড প্লাস্টিকের কন্টেনারও চলবে না। পানি রাখতে কাচের বোতল ব্যবহার করুন। স্টিলের টিফিনবাক্স থেকে টিফিন খান।
  • স্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং পরিমিত এক্সারসাইজের কোনও বিকল্প নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রতি সপ্তাহে নিয়ম করে অন্তত চার ঘণ্টা ব্যায়াম করলে বডি ফ্যাট পার্সেন্টেজ কম থাকে, তাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে ইস্ট্রোজেনের উৎপাদন।’ ইস্ট্রোজেন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলে এন্ডোমেট্রিওসিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
  • সম্ভব হলে অরগ্যানিক ফল-সবজি খান। না পারলে বাজার থেকে কেনা কাঁচা শাকসবজি ও ফল-মূল ভালো করে ধুয়ে নিন পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেটের পানিতে।

ডাঃ উমা নাগ (শম্পা)

প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন

চেম্বার: ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব লি:

(১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)

ফোনঃ ০৯৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১

সক্ষাতের সময়: বিকাল ৫টা – সন্ধা ৭ টা
(শনি, সোম, বুধবার)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

two × 2 =