চোখে কম দেখাকেই মূলত বলা হয় দুর্বল দৃষ্টিশক্তি। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে যে খাবারগুলো খুবই দরকারি এবং যা বেশ কার্যকর তা নিয়েই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি। এ যুগে আমাদের দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাতে হয় কম্পিউটার/ ল্যাপটপ/ মোবাইলের স্ক্রীন এর দিকে তাকিয়ে যা আমাদের চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।
দুধের উপকারিতা
শোয়ার সময় সপ্তাহে তিন দিন তুলোর মোটা পলতে দুধে ভিজিয়ে চোখে রেখে তার ওপর পটি বেঁধে দিলে চোখ ভালো থাকে। আবার কখনো কখনো ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করা শীতল ও স্বচ্ছ দুধ দু’তিন ফোঁটা চোখে দিলে চোখ শীতল থাকে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি কখনো ক্ষীণ হয় না।
কাজুবাদাম এর উপকারিতা
কাজুবাদামে আছে ওমেগা-৩/ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন-ই এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট । এই ৩ টি উপাদান চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে যথেষ্ট। ৫-১০ টা বাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন সকালে পানিটা ঝরিয়ে ব্লেন্ড করে ১ গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন।
সহিজনের রস এর উপকারিতা
সহিজনের রস ১০ মি. লি. ও মধু ১০ গ্রাম নিয়ে মিশিয়ে কাজল তৈরি করুন। এই কাজল চোখের পক্ষে খুবই উপকারী।
এলাচ এর উপকারিতা
এলাচ ৪ গ্রাম মাত্রায় সকালে খেলে এক মাস থেকে ৪০ দিনের মধ্যে দুর্বল দৃষ্টিশক্তি দূর হয়।
বাদামের উপকারিতা
বাদামের ৮-১০ টি দানা রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ভালো করে চিবিয়ে খেয়ে খানিকটা দুধ খেয়ে নিতে হবে। এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ার সঙ্গে শরীরে বলবৃদ্ধিও হবে।
গ্রীন টি এর উপকারিতা
গ্রীন-টিতে থাকা ফ্ল্যাভানয়েড নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট চোখকে রক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের চোখের রোগ থেকে, যেমন:ক্যাটারাকটস্, বিভিন্ন ধরনের গ্লুকোমা ইত্যাদি।
এছাড়াও এটাকে ন্যাচরাল সানস্ক্রীন বলা যায়। একটি ভিন্ন ধরণের ফ্ল্যাভানয়েড নাম গ্যালোক্যাটচিন আপনার চোখের রেটিনাকে রক্ষা করে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে।
কমলা লেবুর রস এর উপকারিতা
যদি চোখের দৃষ্টি ক্রমশ স্তিমিত হয়ে আসে তাহলে কমলা লেবুর রসে বাটা গোলমরিচ ও সৌন্ধব লবণ মিশিয়ে সকাল-বিকাল সেবন করতে হবে। অন্ততঃ তিনমাস এভাবে নিয়মিত করুন তাহলেই ফলাফল পাবেন।
ত্রিফলা এর উপকারিতা
রাতের বেলায় একটা পাত্রে দু’চামচ ত্রিফলা চূর্ণ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পরিষ্কার কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে ঐ জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন অথবা ঐ জল নিয়ে চোখের ওপর ছিটে দিন। এতেও চোখের জ্যোতি বাড়ে।