ত্বকের বিভিন্ন প্রকার সমস্যার জন্য দায়ী হচ্ছে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি। শীত, গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা-ঋতু যাই হোক না কেন, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি সব ঋতুতেই ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। আর তাই ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে ত্বককে সুরক্ষিত করতে হলে সব সময় রোদে যাওয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটাই হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ উপায়। সাধারণত অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায় খুব দ্রুত গতিতে। এছাড়াও মেছতা, ফ্রিকেলসসহ বিভিন্ন পিগমেনটারি ডিজঅর্ডার দেয়। ত্বকের ক্যান্সার হওয়ারও ঝুঁকিও বাড়ে অতিরিক্ত সূর্য রশ্মির প্রভাবে। আর এজন্যই প্রতিদিনের প্রসাধনী সামগ্রীর মধ্যে অন্যতম প্রয়োজনীয় প্রসাধনী হওয়া উচিত সানস্ক্রিন।
প্রতিটি প্র্রসাধানী সামগ্রীর সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় সান প্রটেকশন ফ্যাক্টর বা এসপিএফ দেখে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত এসপিএফ ১৫ কিংবা ৩০ মানের সানস্ক্রিনগুলো প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য উপযোগী। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অয়েল বেসড সানস্ক্রিনের পরিবর্তে ওয়াটার বেসড সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই উত্তম। যে সানস্ক্রিনে যত বেশি এসপিএফ থাকে তাতে তত বেশি সান প্রটেকশন দেওয়ার ক্ষমতা বেশি থাকে। তাই প্রসাধনী ক্রয়ের পূর্বে অবশ্যই এই বিষয়টি লক্ষ্য করুন।
বাহিরের বের হওয়ার বা রোদে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট পূর্বে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যুক্তিসংগত। এতে সানস্ক্রিন ত্বকের সাথে ভালোভাবে মিশে অতিবেগুনী রশ্মির রাসায়নিক উপাদান থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। মেঘলা বা কুয়াশাচ্ছন্ন দিনেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত।
এছাড়াও গরমে ত্বকের যত্নে নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারেন।
বরফ
গরমে ত্বকের যত্নে মুখের উপর বরফ ঘষুন আলতো হাতে। এর ফলে ত্বকের বড় বড় রন্ধ্রগুলো বন্ধ হবে। সেইসঙ্গে বন্ধ হবে অতিরিক্ত তৈলক্ষরণ। ত্বক হবে মসৃণ ও সতেজ।
ব্রণ থাকলে
ব্রণের উপর আলতো হাতে বরফ ঘষলে ব্রণ কমে যাবে। যাদের বেশি ঠাণ্ডায় সমস্যা লাগে, তারা প্রয়োজনে পরিষ্কার কাপড়ে জড়িয়েও বরফ ঘষতে পারেন।
শসা
শসার স্লাইসের মধ্যে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে ফ্রিজে রাখুন। জমাট বাঁধার পর বরফ সমেত ওই মিশ্রণ মুখে মাখুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
গ্রিন-টি
আইস ট্রে-তে করে গ্রিন টি-কে জমাট বাঁধতে দিন। তারপর গ্রিন টি-এর ওই বরফ কিউব বন্ধ চোখের পাতার উপর ৩০ সেকেন্ড করে রাখুন। গ্রিন টি-এর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও মাইল্ড ক্যাফাইন চোখের কালি দূর করবে।
বার্ধক্য প্রতিরোধে
ত্বকের বার্ধ্যক্য প্রতিরোধ করে। বরফ দিয়ে ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে।