একজন পুরুষের সবসময় অবসাদ বা ক্লান্ত বোধ হওয়ার কারণ

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

পুরুষদের ক্লান্ত বোধ হওয়ার কারণ

কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে গেছেন? অবসাদ অবসাদ একটা ভাব এসে গেছে? এমনটি হতেই পারে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন কি, কেন এই অবসাদ বা ক্লান্তি আসে? অনেকে এই অবসাদের পেছনে এখনকার ছুটোছুটি ও অস্থির জীবনযাপনকেই দায়ি করে থাকেন। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটাই দায়ি হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নিই পুরুষের সবসময় ক্লান্ত বোধ হওয়ার ৫টি কারণ।

আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন

নিদ্রাহীনতা

নাক ডাকার উপসর্গ দেখে নিদ্রাহীনতার বিষয়টি ধরা যায়। নিদ্রাহীনতার মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত হচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধার কারণে ঘুম ঠিকমতো না হওয়া। এতে মস্তিষ্ক জেগে থাকে। সারা দিন এতে ক্লান্তি শরীরে থেকে যায়। চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষার মাধ্যমে নিদ্রাহীনতা পরীক্ষা করতে পারেন।

রক্তস্বল্পতা

রক্তে লোহিত কণিকা কমে গেলে রক্তাল্পতা হয়। এ থেকে তৈরি হতে পারে অবসাদ ভাব। সব সময় যদি ক্লান্ত লাগে, দুর্বল বোধ হয়, ঘুম ও মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে, হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়, বুক ও মাথাব্যথা হয়, তবে তা রক্তাল্পতার কারণে কি না, পরীক্ষা করতে পারেন। শরীরে লৌহের ঘাটতি হলে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। লৌহের ঘাটতি পূরণে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

টেস্টোস্টেরন

টেস্টোস্টেরন এটি শুক্রাশয়ে তৈরি হয়। বয়স বেড়ে গেলে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে যায়। টেস্টেটোরন কমে গেলে কয়েক ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় যেমন: সব সময় ক্লান্তি বা অবসাদ তার মধ্যে একটি। ঘুমের মধ্যে অধিক টেস্টোস্টেরন তৈরি হয় বলে অবসাদ কাটাতে ও টেস্টোস্টেরন তৈরিতে পর্যাপ্ত ঘুম দরকার।

থাইরয়েড সমস্যা

গলার ওপর প্রজাপতি আকৃতির এই থাইরয়েড গ্রন্থি যে হরমোন নিঃসরণ ঘটায়, তা নানা উপায়ে শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। এর মধ্যে কত দ্রুত ক্যালরি পোড়ানো হবে বা কত দ্রুত হৃৎস্পন্দন হবে, এ বিষয়টিও রয়েছে। থাইরয়েড গ্রন্থিটি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। থাইরয়েডের সমস্যা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করে, যা দেহের থাইরয়েড গ্রন্থির ওপর প্রভাব ফেলে। সাধারণত থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে অবসাদ তৈরি হয়। সাধারণ রক্ত পরীক্ষায় থাইরয়েডের সমস্যা ধরা পড়ে।

তাছাড়াও যেগুলো রয়েছে

যকৃৎ, বৃক্ক ও হৃদ্‌যন্ত্রসংক্রান্ত নানা ক্রনিক রোগ। শ্বাসযন্ত্র ও পেটের পীড়া, বিষণ্নতা ও অতিরিক্ত কোমল পানীয় সেবনের কারণেও হতে পারে অবসাদ। নিয়মিত হাঁটা, যোগব্যায়াম ও শারীরিক কসরত করে সুস্থ থাকতে পারেন।

অবসাদ বা ক্লান্তি দূর করার উপায়: জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন আনলে এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর মধ্যে আছে

  • পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার খাওয়া
  • যথেষ্ট ঘুমানো
  • বেশি করে তরল-জাতীয় খাবার গ্রহণ
  • সামাজিক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা
  • ভিটামিনকে প্রাধান্য দিয়ে মদ-জাতীয় খাবার কমানো।

শারীরিক, মানসিক বা আবেগীয় কারণ যাই হোকনা কেন শরীরের জন্য অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান যেমন- আমিষ, চর্বি, জটিল শর্করা, ভিটামিন ও খনিজ সঠিক মাত্রায় গ্রহণ করলে ক্লান্তির উপসর্গগুলো দূর করতে সাহায্য করে। আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে, যদি উপরোক্ত বিষয়গুলোর অনুসরণ করার পরও ক্লান্তি বা অবসাদ না দূর হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডাঃ এ, কে, এম সুজাউর রহমান

মেডিসিন, চর্ম ও যৌন ইউনিট

মেডিসিন, চর্ম ও যৌন রোগে অভিজ্ঞ

চেম্বার: ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব লি:

(১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)

ফোনঃ ০৯৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১

সক্ষাতের সময়: সন্ধ্যা ৬.৩০ – রাত ৯.৩০ টা

(শুক্রবার)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

1 × five =