বি.এম.আই কি আপনি জানেন?

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

বি.এম.আই কি আপনি জানেন?

সুস্থ, স্বাভাবিক ও নিরোগ জীবন প্রতিটি মানুষেরই কাম্য। কেননা, একটি সুস্থ দেহের মাধ্যমেই একটি স্বাভাবিক, কর্মক্ষম ও নিরোগ জীবন লাভ সম্ভব। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যগত নানা জটিলতার সাথে ওজনাধিক্যের রয়েছে একটি নিবিড় সম্পর্ক। যাদের ওজন বেশি, অর্থাৎ, যারা ওজনাধিক্য কিংবা স্থুলতায় ভুগছেন তাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অষ্টিওপোরেসিস সহ নানা অসুখ হবার আশঙ্কা থাকে, যা মহিলাদের ক্ষেত্রে আরও প্রকট আকার ধারণ করে। পক্ষান্তরে, কারও ওজন যদি খুব কম থাকে, তবে সে সবসময় দুর্বল ও ক্লান্তবোধ করে, তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম থাকে।

এসকল বিষয়ের প্রেক্ষিতে প্রতিটি মানুষের সুস্থ, স্বাভাবিক ও কর্মক্ষম জীবন লাভের জন্য একটি কাম্য ওজন বা Standard weight বিবেচনা করা হয়। ব্যক্তি বিশেষের এই কাম্য ওজন পরিমাপের একটি পদ্ধতি হলো Body Mass Index বা BMI নিরূপণ।
Body Mass Index (BMI) হল প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ওজন ও উচ্চতার ভিত্তিতে স্থুলতা নির্ণয়ের একটি নির্ভরযোগ্য ও সর্বাধিক প্রচলিত সূচক বা পন্থা, যা ব্যক্তির ওজনাধিক্যের ধরণ নির্দেশ করে নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার ঝুঁকি হতে রক্ষা করে।

বি.এম.আই পরিমাপের সূত্র হলোঃ

বি.এম.আই= ওজন (কেজি)/উচ্চতা (মিটার)২।

আর এই বি.এম.আই অনুযায়ী আপনি সহজেই নির্ণয় করতে পারেন আপনার স্বাস্থ্যগত অবস্থাঃ

বিএমআই    শ্রেনী

< ১৮.৫০    ওজনহীনতা
১৮.৫০ – ২৪.৯    স্বাভাবিক
২৫.০০ – ২৯.৯    ওজনাধিক্য
৩০.০০ – ৩৪.৯    গ্রেড-১ স্থুলতা
৩৫.০০ – ৩৯.৯    গ্রেড-২ স্থুলতা
> ৪০.০০    গ্রেড-৩ স্থুলতা/ রোগ গ্রস্থ চূড়ান্ত পর্যায়ের স্থুলতা।

এশিয়দের জন্য ২৩.০০ – ২৯.৯ পর্যন্ত BMI কে Over weight বা ওজনাধিক্য এবং ৩০ এর বেশী BMI কে Obesity বা স্থুলতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

সুস্বাস্থ্যের উপর পুষ্টি উপাদানের প্রভাব নিয়ে নানা গবেষণায় ওজনাধিক্যকে সমান গুরুত্ব দিয়ে মানুষের নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার একটি অন্যতম কারণ হিসেবে একে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কাম্য ওজন অপেক্ষা শতকরা ১০ ভাগ বেশি হলে ওজনাধিক্য বলা যেতে পারে। কিন’ ওজন যদি শতকরা ২০ ভাগের বেশি হয় তবে তাকে প্রথম শ্রেনীর স্থুলতা হিসেবে গণ্য করা হয়।

আর এই কাম্য ওজন নির্ধারণে ব্যক্তির বি.এম.আই নিরূপণ অত্যন্ত জরুরী। ওজনাধিক্য ও স্থুলতা পরিমাপে বি.এম.আই নিরূপণ একটি সহজ পন্থা। প্রতিটি মানুষেরই উচিত বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। এছাড়াও প্রত্যেকরই বয়স, উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরি চাহিদা। আর সেজন্যই প্রতিটি মানুষের বি.এম.আই নিরূপণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত অবস্থা নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী পরিমিত ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত। একথা মনে রাখতে হবে যে- বি.এম.আই হল একমাত্র প্রভাবক বা সূচক, যার উচ্চমাত্রা স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার ঝুঁকি নির্দেশ করে।

এখানে মেপে নিন আপনার BMI.আর নিজের অবস্থা নিজেই যাচাই করুন। সম্ভব হলে আপনার BMI আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

আরও পড়ুনঃ পরিবেশ দূষণের কারণে সৃষ্ট অসুখ বিসুখ।

গণসচেতনায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

4 × one =