নবজাতকের মায়েদের জন্য যে খাবারগুলো নিষিদ্ধ

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

নবজাতকের মায়েদের সচেতন থাকতে হয় সর্বক্ষণ যাতে বাচ্চা সুস্থ থাকে। বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর সময় এমন কোন খাবার খাওয়া যাবে না যাতে বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিছু খাবার আছে যা মায়েদের এড়িয়ে চলতে হয়। নবজাতককের মায়ের জন্য যে খাবারগুলো খাওয়া নিষেধ তা খেলে বাচ্চারা মায়ের দুধ খেতে চায় না অথবা দুধ খেলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। তাই অবশ্যই নতুন মায়েদের বা নবজাতকের মায়েদের কিছু খাবার এড়িয়ে চলা অত্যাবশ্যক বাচ্চা সুস্থ্যতার জন্য। চলুন জেনে নিই খাবারের নামগুলো:

আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন

রসুন

যদি রসুন বা রসুনের খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তবে আজই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।রসুনের গন্ধ বুকের দুধের মধ্যে আসে যা আপনার বাচ্চা পছন্দ নাও করতে পারে।

কফি

যখন কফি বা চা পান করেন তখন ক্যাফিনের কিছু অংশ দুধের সাথে মিশে যায়। ছোট শিশুদের বড়দের মত ক্যাফিন শোষন করার ক্ষমতা থাকে না। ফলে ওদের পেটে ব্যথা, বুক জ্বালাপোড়া, অনিদ্রা দেখা দিতে পারে। তাই বাচ্চাকে যতদিন দুধ খাওয়াবেন ততদিন কফি বা চা এড়িয়ে চলুন।

চকলেট

এই সময় প্রিয় চকলেট খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে অবশ্যই। চকলেট বিশেষ করে ডার্ক চকলেটে ক্যাফিন থাকে যা আপনার শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

দুগ্ধজাত খাবার

দুধ এবং দুধ জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। কিন্তু শিশুরা এই জাতীয় খাবার সহজে হজম করতে পারে না। বিশেষ করে গরুর দুধের প্রোটিন। দুগ্ধ জাতীয় খাবার মা খেলে তা দুধের মাধ্যমে শিশুর শরীরে চলে যায়। এতে শিশুর হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস বা পেট ব্যথা সহ অনেক সমস্যা দেখে দিতে পারে। তাই এই খাবারগুলো ত্যাগ করাই ভাল।

লেবু জাতীয় ফল

লেবু জাতীয় সকল ফল এই সময় এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই জাতীয় ফলে অ্যাসিড থাকে যা শিশুর বুক জ্বালা পোড়া, পেট ব্যথার কারণ হতে পারে। এমনকি শিশুর শরীরে অ্যালার্জিও দেখা দিতে পারে। লেবুর পরিবর্তে ভিটামিন সি এর জন্য যেমন পেঁপে আম, খেতে পারেন।

কিছু মাছ

মাছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। কিন্তু কিছু মাছ যেমন টুনা মাছ, আঁশযুক্ত মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ব্রকোলি

বাচ্চা দুধ খাওয়ানোর সময় ব্রকোলি, ফুলকপি জাতীয় গ্যাস সৃষ্টিকারী সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এই খাবারগুলো পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে যা বাচ্চার ক্ষতি করে।

সর্বোপরি, আপনার বাচ্চার দৈহিক ও মানসিক সকল প্রকার সুস্থ্যতার জন্য মায়ের খাবারই দায়ী যতদিন পর্যন্ত বাচ্চা দুধ পান করতে থাকে। তাই অবশ্যই আপনাকে খাবারের প্রতি সচেতন থাকতে হবে এবং বুঝে শুনে ভাল খাবার খেতে হবে এতে আপনি সুস্থ থাকবেন আর সাথে সুস্থ থাকবে আপনার শিশু। আর অবশ্যই কোন রোগের দেখা দিলে নবজাতকের ক্ষেত্রে কোন ক্রমেই দেরি করা উচিত নয়, যতদ্রুত সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ডাঃ উমা নাগ (শম্পা)

প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন

চেম্বার: ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব লি:

(১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)

ফোনঃ ০৯৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১

সক্ষাতের সময়: বিকাল ৫টা – সন্ধা ৭ টা
(শনি, সোম, বুধবার)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

1 × three =