ডার্মারোলার (Dermaroller/Skin Roller) কি? বিস্তারিত

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

ডার্মারোলার কি?

এটা মুলত উন্নত দেশগুলাতে অনেক পপুলার। বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে বেশি পপুলারিটি। এইটা স্কিন এ ব্রন এর দাগ, অন্য কোন দাগ, বয়সের ছাপ ইত্যাদি দূর করার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। একটা এক্সপেরিমেন্ট এ দেখা যায় যে এইটা মিনক্সিডিল এর সাথে ব্যবহারের ফলে মাথার চুল বেশি গজায়।

কিভাবে কাজ করে?

এটিতে শত শত ছোট ছোট সুই থাকে। এই সুই গুলো দিয়ে মাথায় যায়গায় অসংখ্য ছোট ছোট ছিদ্র করা হয়। ফলে ওই যায়গার স্কিন এ ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, হেয়ার ফলিকল পুষ্টি পায়, ওই যায়গার স্কিন কন্ডিশন ভাল হয়, কোলাজেন বেশি উৎপন্ন হয়।

কোনটা কিনব?

ডার্মারোলার অনেক রকমের আছে।  0.25mm থেকে শুরু করে 3mm পর্যন্ত। চুলের জন্য 0.5mm, 0.75mm, 1mm এই তিনটার যেকোনটা ইউজ করবেন। কারন চুলের জন্য কোলাজেনটা অনেক ইম্পর্টেন্ট। আর 0.5mm এর নিচের সাইজ গুলাতে কোলাজেন প্রডাকশন হয়না, আর 1mm এর উপরের সাইজ গুলো ডাক্তার এর সাহায্য ছাড়া ইউজ করতে পারবেন না। তাছাড়াও ডার্মারোলার স্টিলনেস স্টিল এবং টাইটেনিয়াম এই দুই রকমের আছে। টাইটেনিয়াম এর গুলোর দাম একটু বেশি। দুইটার কাজ একি, টাইটেনিয়ামটা বেশিদিন টিকে। স্টিলনেস স্টিল এর গুলো ৬মাস পর্যন্ত ইউজ করা যায় আর টাইটেনিয়াম এর গুলো ১০-১২মাস পর্যন্ত।

কোন সাইজ কিনব?

সাইজ যত কম পেইন তত কম, আবার সাইজ যত বেশি কাজ তত বেশি। 0.5mm কিনলে পেইন একটু কম হয় কিন্তু কোলাজেন প্রডাকশন টাও কম হয়। তাই 1mm কিনা টা বেস্ট। তাছাড়া 0.5mm অথবা 0.75mm কিনলে সপ্তাহে দুই তিন বার ইউজ করতে হবে, অন্যদিকে 1mm কিনলে সপ্তাহে মাত্র একবার ইউজ করতে হবে।

কিভাবে ইউজ করব?

কিভাবে ইউজ করবেন এইটা বললে কখনো বুঝবেন না, আপনাদের সুবিধার জন্য আমি একটি ভিডিও লিঙ্ক দিচ্ছিঃ

 

অনেকেই বলেন যে ডার্মারোলার ইউজ করার সময় আস্তে আস্তে প্রেশার দিতে, কিন্তু আপনার উচিত মোটামোটি জোরে প্রেশার দেয়া, তাইলে সুই গুলো ভাল মত ঢুকবে,  আর কোলাজেন প্রডাকশন ও বেশি হবে। মিনক্সিডিল এর সাথে ডার্মারোলার ব্যবহার করা হয় এইজন্য যে এইটা মিনক্সিডিল এর কাজ অনেক সহজ করে দেয়। ডার্মারোলার এর কারনে অনেক নতুন নতুন হেয়ার ফলিকল এর উপর মিনক্সিডিল কাজ করতে পারে, তাই চুলের ভাল কাভারেজ পাওয়া সহজ হয়। যতদিন মিনক্সিডিল ইউজ করবেন ততদিন সাথে ডার্মারোলার ইউজ করবেন। মনে রাখবেন, চুল গজানোর জন্য শুধুমাত্র মিনক্সিডিলই এনাফ, বাট সাথে ডার্মারোলার ইউজ করলে ফলাফল অনেক সন্তোষজনক হয়।

ডার্মারোলার ইউজ করার আগে এবং পরে ডার্মারোলার এর মাথার অংশ কে জীবানুমক্ত করতে হয়। এক কাপ পানিতে ১০-১২ফোটা হেক্সিসল দিয়ে ওই পানিতে ডার্মারোলার এর সুই ওয়ালা যে অংশ (মাথা) ওইটা ২-৩মিনিট ভিজায় রাখবেন, তারপর তুলে সেটা ২-৩মিনিট শুকিয়ে তারপর ইউজ করবেন। ইউজ করা শেষ হলে আবার একি পানিতে একিভাবে জীবানুমুক্ত করে তারপর শুকিয়ে রেখে দিবেন।

কিনব কোথা থেকে?

যোগাযোগঃ ০১৯০৩৭৫৩২২৪

হেক্সিসল, CastorOil, NiveaSoft

হেক্সিসল যেকোন ফার্মাসী তে পাবেন, দাম ৩৫-৪০ টাকা ছোট বোতল। Castor Oil এবং Nivea Soft যেকোন ভাল কসমেটিক্স এর দোকানে পাবেন। দাম Castor Oil ১৮০-২০০ টাকা ছোট বোতল আর Nivea Soft ১১০-১২০ টাকা মাঝারি সাইজ।

কিছু কথা

১. ব্রন এর উপর ডার্মারোলিং করবেন না, করলে ব্রন বাড়বে।

২. ডার্মারোলিং এর ২৪ঘন্টা পর মিনক্সিডিল ইউজ করবেন, এর আগে ভুলেও করবেন না।

৩. ডার্মারোলিং যেদিন করবেন ওইদিন যেই যায়গায় ডার্মারোলিংকরেছেন ওই যায়গায় জালাপোড়া করবে, লাল হয়ে থাকবে, এইটা নরমাল।

৪. ডার্মারোলিং এর সময় কোন কোন যায়গা থেকে এক দুই ফোটা রক্ত বের হলে ভয় পাওয়ার কিছু নাই, এইটা নরমাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

ten − four =