
গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে মায়ের দেহে কি পরিবর্তন হয়?
প্রথমে কিছুই ফিল করা যায়না, এরপর আপনার মনোভাবে পরিবর্তন আসে। তারপর মর্নিং সিকনেস। দেখতে দেখতে বাচ্চা পেটের ভেতরে নড়াচড়া শুরু করে। প্রেগনেন্সির সময়টাকে তিন মাস করে ভাগ করা হয় যাকে ট্রাইমেস্টার বলে। প্রতিটা ট্রাইমেস্টার আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুর পরিবর্তন এবং বৃদ্ধি কীভাবে হবে তা নিশ্চয়ই জানতে বুঝতে ইচ্ছা করে। চলুন তাহলে জেনে শুরু করা যাক।
প্রথম তিন মাসে মায়ের দেহে পরিবর্তন সমূহঃ
হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরের প্রতিটা অঙ্গেই প্রভাব পড়ে। পরিবর্তনগুলো বাহ্যিকভাবে প্রকাশ না হলেও শরীরের অভ্যন্তরে হয়।
প্রেগনেন্সি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বমিবমি ভাব ও বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারো কারো বিভিন্ন জিনিসের গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। এছাড়াও যে লক্ষণগুলো দেখা যায় তা হল- অত্যন্ত দুর্বল অনুভব করা, স্তন নরম হওয়া ও ফুলে যাওয়া, পেট খারাপ হওয়া, খাবারে অরুচি বা খুব বেশি ক্ষুধা পাওয়া, মেজাজের পরিবর্তন, কোষ্ঠকাঠিন্য, বুক জ্বালাপোড়া করা, ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, মাথাব্যথা ইত্যাদি।
প্রথম তিন মাসে ভ্রূণের বৃদ্ধিঃ
গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে বাচ্চার হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের গঠন হওয়া শুরু হয়। এই সময়েই বেবির হাত, পা, মস্তিষ্ক, স্নায়ুরজ্জু এবং স্নায়ুর গঠন ও শুরু হয়ে যায়।
ভ্রূণের আকার তখন হয় একটি মটর দানার মত। দ্বিতীয় মাসে ভ্রূণের আকার বৃদ্ধি পেয়ে শিমের বিচির মত হয়। গোড়ালি, কব্জি, আঙ্গুল ও চোখের পাতা গঠিত হয়। হাড়ের প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে যৌনাঙ্গ এবং অন্তঃকর্ণ এরও বিকাশ শুরু হয়।
দ্বিতীয় মাসের শেষের দিকে ভ্রনের ৮-১০ টি প্রধান অঙ্গ গঠিত হয়। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসেই গর্ভপাত হয় ও ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে ক্ষতিকর কোন ঔষধ গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে হাড় ও পেশীর বৃদ্ধি শুরু হয়। ভবিষ্যৎ দাঁতের জন্য ভিত্তি তৈরি হয় এবং হাত ও পায়ের আঙ্গুলের বৃদ্ধি হয়। এই সময়ে অন্ত্রের গঠন শুরু হয় এবং ভ্রূণের ত্বক প্রায় স্বচ্ছ থাকে।
গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তার ফলোআপে থাকবেন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। আপনার ও আপনার অনাগত বেবির জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
medicalbd সাস্থের সকল খবর।
