সাধারণত গরমকালে ভাইরাস জ্বর একটি অতি পরিচিতি রোগ। গ্রীষ্মকালে ভাইরাস আক্রমণের ২ থেকে ৭ দিন পর জ্বর আসে শরীরে। গরমে ভাইরাস জ্বর আসার পূর্বে যে লক্ষণগুলো সাধারণত প্রকাশ পায় সেগুলো নিম্নরূপ:
- মাথাব্যথা
- খাবারে অরুচি
- শীত শীত ভাব
- শরীর ও জয়েন্টে ব্যথা
- কান্তি, দুর্বলতা
- নাক-চোখ দিয়ে পানি পড়া
- চোখ লাল হওয়া
- অস্থিরতা
- চুলকানি, কাশি
- ঘুম কম হওয়া প্রভৃতি লক্ষণ দেখা দেয়।
আবার অনেক সময় শিশুদের ক্ষেত্রে পেটের সমস্যা, বমি ও ডায়রিয়াও হতে পারে। কারও হয়তো তিন দিনেই জ্বর ভালো হয়ে যায়। কারও আবার ৭ থেকে ১৪ দিনও লাগতে পারে এই জ্বর থেকে মুক্তি পেতে। সাধারণত ভাইরাস জ্বরের প্রাথমিক লক্ষণগুলো স্বাভাবিক জ্বরের মতোই হয়ে থাকে। এই জ্বরে সাধারণত প্রথমেই জ্বর অনেক বেশি আসে। জ্বরের মাত্রা থাকে অনেক।
আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন
গরমে ভাইরাস জ্বর প্রতিরোধে করণীয়
মাত্র দুই কোয়া রসুন আর একটু আদা। রোজ সকালে খালি পেটে দুই কোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। রোজ এই টোটকা খেলে সহজেই এড়াতে পারবেন সর্দিকাশি, পেটের সমস্যা ও গরমে ভাইরাস জ্বর। রসুনে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল থাকে। এ ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে রসুন। আদা রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায় ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। আদা-রসুন একসঙ্গে খেলে তাই, শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফলে এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভার।
তাছাড়া,
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন
- সর্দিকাশি বা জ্বরের রোগীর সঙ্গে হাত মেলালে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
- হাত না ধুয়ে চোখে, নাকে বা মুখে হাত দেবেন না। এতে জীবাণু ছড়ায়।
- বেশি করে পানি পান করুন।
- মদ্যপান বা ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
- খাবারের সামনে হাঁচি বা কাশি থেকে সাবধান।
- সব সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে যা করবেন
ভাইরাস জ্বর কোনো ভয়াবহ অসুখ নয়। কোনো অ্যান্টিবায়েটিকেরও প্রয়োজন হয় না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল খেলেই সাধারণত ভালো হয়ে যায়। তবে জ্বর থাকা অবস্থায় প্রচুর পানি পান করতে হবে। সেই সাথে বিশ্রামেরও প্রয়োজন। খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি ও জিঙ্কযুক্ত খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে। তরল জাতীয় খাবার যেমন স্যুপ, ফলের বা লেবুর শরবত, স্যালাইন, ডাবের পানি খেতে হবে। খাবারের তালিকায় মওসুমি ফল খুবই উপকারী।