সম্পূর্ণ ঘরোয়া উপায়ে কিডনি পরিষ্কার করুন

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

আমরা সাধারণত তেল, ঝাল, মশলা খেয়ে হাত পরিষ্কার করে নিই কিন্তু কখনো কি কিডনির কথা ভেবেছেন বা  পরিষ্কার করছেন? আপনি হয়তো জানেন না যে, কিডনিও পরিষ্কার করা যায়। হাতের কাছেই আছে এর সমাধান। কীভাবে পরিষ্কার করবেন? জেনে নিন:

আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন

কিডনি পরিষ্কার করার জন্য যা তৈরি করতে হবে তার সবকিছুই মূলত ঘরেই পাবেন, যেমন:

  • পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন এক আঁটি ধনেপাতা
  • এরপর কুচি কুচি করে কেটে একটি পাত্রে রাখুন
  • পাত্রে কিছুটা পানি দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন
  • ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রেখে দেন। ফ্রিজেও রেখে দেয়া যেতে পারে ওই বোতল
  • এরপর প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খান

সাধারণত কিডনির মধ্যে জমে থাকা লবণ এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। এক আঁটি ধনেপাতায় আছে

  • ১১% ফাইবার
  • ৪% প্রোটিন
  • ১% ক্যালরি
  • ১% কার্বোহাইড্রেট
  • ১% ফ্যাট
  • ম্যাঙ্গানিজ ২১%
  • পটাসিয়াম ১৫%
  • কপার ১১%
  • আয়রন ১০%
  • ক্যালসিয়াম ৭%
  • ৩৮৮% ভিটামিন k
  • ১৩৫% ভিটামিন A
  • ৪৫% ভিটামিন C
  • ১৬% ফলেট।

বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। লবণ, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল। তাই কিডনীর যত্ন নেওয়া প্রয়োজন এবং মাঝে মাঝেই একে পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

তাছাড়াও কিডনিকে সুস্থ রাখতে নিম্নের কাজগুলো করবেন:

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবেন। সারা দিনে ছোট এক বাটি ভাত, ৩–৪টা রুটি বা চিড়া–মুড়ি–খই এবং দুই–তিন রকম শাকসবজি ও ফল খান। এখন যতটা লবণ খান তার চেয়ে ২ গ্রাম কম খান। দিনে এক চা–চামচের বেশি নয়। খাবার রান্না করুন কম লবণ দিয়ে এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খান। এতে কিডনির রোগের আশঙ্কা প্রায় ২০ শতাংশই কমে যাবে।

বয়স যদি ৪০–এর কাছে হয় তাহলে ওজনের ১০ শতাংশর বেশি প্রোটিন খাওয়া ঠিক নয়। অর্থাৎ আপনার ওজন যদি হয় ৬০ কেজি তাহলে হলে প্রোটিন খাবেন ৬০ গ্রামের মতো। সকালে ডিম বা দুধ/দই/ছানা/চিজ খেতে পারেন। জাঙ্ক ফুড না খাওয়াই ভাল। আর যদি খেতেই হয় তবে সপ্তাহে এক দিনের বেশি নয়।

যত বেশি ওজন তত কিডনির ক্ষতি, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। ৬০ কেজি ওজনের একজন মানুষের তুলনায় ১২০ কেজি ওজনের মানুষের কিডনি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা দ্বিগুণ থাকে। কিডনি ভাল থাকে পরিমান মতো পানি খেলে। শরীরের অবস্থা উপর নির্ভর করে দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার বা ৪ লিটার পানি খান। এর কম খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, বেশি খেলে অতিরিক্ত চাপ পড়ে কিডনির উপর। ডায়াবেটিস–হাইপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন। পা–মুখ ফুললে, অরুচি বা রক্তাল্পতা হলে, গা–হাত–পায়ে ব্যথা হলে চিকিৎসকের কাছে যান।

ডাঃ এস এন নাগ

কিডনী রোগ, ইউরোলজী ও ষ্টোনক্র্যাশ ইউনিট

চেম্বার: ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব লি:

(১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)

ফোনঃ ০৯৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১

সক্ষাতের সময়: বিকাল ৫টা – রাত ৮টা

(শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন বন্ধ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

thirteen + 19 =