স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যেমন জরুরি তেমনি বুদ্ধিমানের কাজও বটে। জেনে রাখা ভালো প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই অত্যন্ত জরুরি হচ্ছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা। তবে পুরুষদের ক্ষেত্রে কিছু স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। এই স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো ছয় মাস বা বছর খানেক পর পর করা উচিত জরুরি।আসুন জেনে নেই পুরুষদের জন্য কিছু অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা যা খুবই জরুরি।
আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন
ক্যান্সারঃ একজন মানুষের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি কতটা! এর জন্যে ফ্লেক্সিবল সিগমোইডোস্কপি করিয়ে নেওয়া জরুরি। ফিকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট, কোলনোস্কপি আর মোল স্ক্রিনিং করানোটাও অত্যন্ত জরুরি। যারা ধূমপায়ী, তাদের জন্যে লো-ডোজ কম্পিউটেড টমোগ্রাফি করানো তো বলা যায় বাধ্যতামূলক। এছাড়া প্রোস্টেট স্পেসিফিক অ্যান্টিজেন এবং ডিজিটাল রেক্টাল করিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়। তাই সুস্থ থাকতে এগুলোকে এঁড়িয়ে যাবেন না।
উচ্চ রক্তচাপঃ যেকোন সময় উচ্চ রক্তচাপ ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়ে থাকে। তাই উচ্চরক্তচাপ পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।
হার্টঃ আমরা সবাই জানি, হার্ট অ্যাটাক একটি জটিল রোগ। এর কারণ হলো হার্ট অ্যাটাক রোগে যারা মৃত্যুবরণ করে তাদের বেশির ভাগ লোকই কিন্তু প্রথম ঘণ্টার মধ্যে মারা যান। তাই আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেমন? প্রথমেই তার পরীক্ষা করতে হবে। এটা বিশেষত পুরুষদের ক্ষেত্রে খুব বেশি জরুরি।
ডায়াবেটিসঃ মারাত্বক ও প্রাণঘাতী একটি রোগের নাম হচ্ছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কতটা বা রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য ঠিক আছে কী না তা পরীক্ষা করে জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। উপরে উল্লেখিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাগুলো করিয়ে নিলে আপনি শরীরিকভাবে ভালো থাকবেন আশা করা যায়। এছাড়া কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।