ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয় ও চিকিৎসা

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

ডেঙ্গু জ্বর: ডেঙ্গুজ্বর একটি মশাবাহিত রোগ। একে ব্রেকবোন ফিভারও বলা হয়। ডেঙ্গু, এডিস প্রজাতির বিভিন্ন প্রকার মশাদ্বারা পরিবাহিত হয়। প্রধানত: Aedes Aegypti, এন্টি সিংগেল স্ট্যান্ডার্ড RNA ভাইরাস যা Flaviviridae  family এবং Flavi virus genus. এর চারটি বিভিন্ন প্রকার আছে।

একটি প্রকারের সংক্রমণ সাধারণত জীবনভর সেই প্রকারের প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়। কিন্তু অন্য প্রকারগুলিতে শুধুমাত্র স্বল্পমেয়াদি প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়। অন্য প্রকারের পরবর্তী সংক্রমণ প্রবল জটিলতা ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। যেহেতু কোন ভ্যাকসিন নেই, মশার সংখ্যার অনুকুল পরিবেশ এবং মশার সংখ্যাবৃদ্ধির হ্রাস এবং মশা কামড়ের সম্ভাবনা কমানোর মাধ্যমে প্রতিরোধ প্রয়োজন।

পরিবহণ

ডেঙ্গু ভাইরাস প্রাথমিকভাবে এডিস মশা দ্বারা পরিবাহিত হয়। বিশেষ করে A aeggpti এই ভাইরাসের প্রাথমিক ধারক মানুষ।

স্ত্রী মশা ডেঙ্গু আক্রান্তর রক্তপান করে নিজে সংক্রমিত হয় ও পেটে ভাইরাস মশার দেহের অন্যান্য কোষে ছড়িয়ে পরে যার মধ্যে আচে৬ মশার লালাগ্রন্থি এবং শেষে এর লালায় চলে আসে। মশার উপর এই ভাইরাসের কোন প্রভাব নেই।

রক্তসম্বন্ধী সামগ্রী এবং অঙ্গদান এর মাধ্যমে ও ডেঙ্গু পরিবাহিত হতে পারে।

শিশু এবং বাচ্চাদের মধ্যে রোগের প্রবণতা বেশী। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বিপদ বেশি। যাদের ডায়াবেটিস এবং অ্যাজমা আছে তাদের জন্য ডেঙ্গু প্রাণঘাতী হতে পারে।

উপসর্গ/সমস্যা

ডেঙ্গু ভাইরাস দেহে প্রবেশ করার ৩-১৫ দিন পর সমস্যা দেখা যায়।

  • ০১. তীব্র জ্বর
  • ০২. তীব্র মাথাব্যথা
  • ০৩. চোখ ব্যথা
  • ০৪. তীব্র হাঁড়ের জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশীতে ব্যথা
  • ০৫. বমি বমি ভাব, বমি হওয়া
  • ০৬. দূর্বলতা
  • ০৭. র‌্যাশ (জ্বরের ২-১৫ দিন পরে দেখা যায়)
  • ০৮. রক্তপাত (নাক থেকে রক্তপড়া, দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপড়া)

জটিলতা

  • ডেঙ্গু হেমোর‌্যাজিক ফিভার
  • এক্ষেত্রে উচ্চ তাপমাত্রা থাকে, যা আমাদের দেহের রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্থ করে ফলে রক্তপাতের সূত্রপাত হয়।
  • ফলে লিভার বড় হয়ে যায় এবং আমাদের দেহের রক্তচলাচল পদ্ধতিকে নষ্ট করে দেয়। যেখান থেকে রোগীর প্রচুর রক্তপাত হয়। শক এবং মৃত্যুও হতে পারে। একে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম বলা হয়।
  • সময়: বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রবণতা বেশি থাকে। আশেপাশে ডোবা অথবা জলাবদ্ধতাতে এডিস মশার ডিম পাড়ার জায়গা।
  • এছাড়া অন্ধকার পরিবেশে মশার উপদ্রব বেশী।

প্রতিকার

  • মশারী ব্যবহার করতে হবে।
  • ফুলহাতা এবং ফুলপ্যান্ট পড়া উচিত
  • আশেপাশের ডোবা, খালি ফুলের টব এসব জিনিস এ জেনো  পানি জমে না থাকে দেখতে হবে।
  • ঘরে প্রচুর আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখা উচিত।
  • অতিরিক্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মশার ঔষধ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

চিকিৎসা

  • প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে
  • জ্বর হলে শুধু মাত্র প্যারাসিটামল ঔষুধ খাওয়া যাবে্
  • অ্যাসপিরিন জাতীয় ঔষুধ পরিহার করতে হবে
  • Blood transfusion / রক্ত দিতে হবে পারে যদি Platelet count < 3000 এর নিচে হয়।

জেনারেল ফিজিশিয়ান

ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক ল্যাব লি:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

18 + fifteen =