আজ অবধি এই অসুখের কোনও নিশ্চিত চিকিৎসা আবিষ্কার হয়নি। শুরু দিকে ছেলেটার ডান উরুতে একটা শক্ত ‘লাম্প’ বা মাংসপিণ্ড লক্ষ করেছিলেন ছেলেটার বাবা। কখনো ভাবতে পারেননি, কী ভয়ঙ্কর অসুখ বাঁধিয়ে বসেছে তার ছেলে। যত সময় গেল তত পরিষ্কার হল বিষয়টা। যত সময় যাচ্ছে ধীরে ধীরে তার ছেলের শরীরের বিভিন্ন অংশ পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছে! “স্টিফ স্কিন সিনড্রোম” নামের এক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে ১২ বছরের এই ছেলেটি।
আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন
বিজ্ঞান ও গবেষণা বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘লাইভসায়েন্স- এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই রোগ সম্পর্কে বলা হয়। জেনেটিক অ্যান্ড রেয়ার ডিজিসেস ইনফরমেশন সেন্টার-এর মতে, রোগটি জেনেটিক মিউটেশনের ফলে হয়। এবং আজ অবধি এই অসুখের কোনও চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি।
১২ বছরের জাইডেন রজার্স নামের ওই ছেলেটির শরীরে অসুখটি ক্রমেই আরও সমস্যার সৃষ্টি করে চলেছে। একে তো যন্ত্রণা, তার উপরে একে একে কোমর, পাকস্থলী সবই পাথরের মতো শক্ত হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। বুকের কাছে পৌঁছে গিয়েছে অসুখটি। ফলে শ্বাসকষ্টও শুরু হয়েছে।
এই রোগে আক্রান্তদের একটা বড় সমস্যা হল, ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন অংশের অস্থিসন্ধি নাড়ানো কঠিন ও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এমনকী, চোখের পেশীও শক্ত হয়ে চোখের পাতা ফেলাও কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে! কোনও চিকিৎসাই কি নেই এই রোগটির? ইমিউন-সিস্টেম সাপ্রেসিং নামে একটি ড্রাগ রয়েছে, যেটা দিয়ে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও হতে পারে। কিন্তু সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।