শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। লাউয়ের মধ্যে এমন কী আছে, যেটি শরীরের জন্য উপকারী? এই সময়ে বাজারে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে লাউ। লাউ শীতের সবজি হলেও এখন সারা বছরই ফলে। এই সবজি পুষ্টিগুণে ভরপুর।
গবেষণা বলছে, লাউয়ের ভিতরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, বি এবং ডি, সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, আয়রন এবং পটাশিয়াম, যা নানাবিধ রোগের হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে আরও নানা উপকারে লাগে শরীরের।
লাউ এর পুষ্টিগুণঃ
- প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে রয়েছে-
- কার্বোহাইড্রেট- ২.৫ গ্রাম
- প্রোটিন- ০.২ গ্রাম
- ফ্যাট- ০.৬ গ্রাম
- ভিটামিন সি- ৬ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম- ২০ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস- ১০ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম- ৮৭ মিলিগ্রাম
এছাড়াও রয়েছে খনিজ লবণ, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, আয়রন প্রভৃতি। এসব উপাদান আমাদের সুস্থতার জন্য ভীষণ প্রয়োজন। জেনে নিন নিয়মিত লাউ খাওয়ার সুফল।
নিয়মিত লাউ খেলে শরীরে যে উপকার হয় আর যেসব রোগ এড়ানো যায়, তাও জেনে নেওয়া যাক।
লাউ এর উপকারিতাঃ
- লাউয়ে প্রচুর পানি থাকায় দেহের পানির পরিমাণে ভারসাম্য রাখতে সাহায্য করে।
- ডায়রিয়াজনিত পানিশূন্যতা রোধেও এটি কার্যকর।
- কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে লাউ।
- প্রস্রাবের সংক্রমণ রোধেও এটি অনন্য।
- উচ্চ রক্তচাপজনিত রোগে ভুগছেন যেসব রোগী, লাউ তাঁদের জন্য আদর্শ সবজি।
- লাউ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে পেট পরিষ্কার রাখে।
- মুখে ব্রণ ওঠার প্রবণতাও কমে যায় অনেকটাই।
- ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ ।
- পস্রাবের জ্বালা পোড়ার সমস্যা এবং পস্রাবের হলদে ভাব দূর করে।
- উচ্চ রক্তচাপ আছে যাদের, তারা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন লাউ।
- হার্টের সুস্থতায় লাউয়ের জুড়ি নেই।
- লাউ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
- লাউ খেলে পেট ফাঁপা ও অ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
- লাউ পাতার তরকারি মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা রাখে।
- ইউরিন ইনফেকশনে খুব উপকারী লাউ।
- ডায়াবেটিসের রোগীদের অত্যধিক তৃষ্ণা কমাতেও সাহায্য করে।
- প্রচুর ফাইবার থাকায় লাউ খেলে ওজন হ্রাস পায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য, অশ্ব, পেট ফাঁপা প্রতিরোধে সহায়ক এই সবজি।
- নিয়মিত লাউ খেলে কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এটি।
- লাউয়ের রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দূর করে।
- চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুল পেকে যাওয়ার হার কমায়।
- স্ট্রেস লেভেল কমে ।
- ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়।