মনে রাখবেন হাম হলে যা করণীয়

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

হাম হলে যা করণীয়

 হাম

হাম রোগের সময় এটি। ঠিকমতো এ রোগের চিকিৎসা না করা হলে রোগী নানা জটিলতায় পড়তে পারে। বয়স্কদের তুলনায় শিশুরাই হামে বেশি আক্রান্ত হয়। এটি একটি ভাইরাসজনিত রোগ, সাধারণত আক্রান্ত রোগীর হাঁচি-কাশি থেকে এই ভাইরাস আশপাশের সুস্থ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

হাম “ভাইরাস” শরীরে প্রবেশের এক-দুই সপ্তাহ পর রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। তবে সঠিক সময়ে প্রতিষেধক টিকা দিলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে শিশুরই হোক বা বড়দের, ঠিকমতো চিকিৎসা না হলে এই রোগ ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে।

উপসর্গঃ

  • উচ্চ মাত্রার জ্বর।
  • নাক দিয়ে পানি পড়া।
  • চোখে জ্বালা-পোড়া করা।
  • কাশি, হাত-পা ব্যথা করা।
  • দেহে অবসন্নতা আসা।
  • খাবারে অরুচি হওয়া।
  • রোগ হবার দু-এক দিনের মধ্যে মুখের অভ্যন্তরে, গালের ভেতরের দিকে একটি নীলচে সাদা দাগ দেখা যেতে পারে।
  • একপর্যায়ে গায়ে ও চামড়ায় ছোপ ছোপ ফুসকুড়ি দেখা যায়।

রোগ নির্ণয়ঃ

হামের রোগনির্ণয়ের জন্য উপসর্গই যথেষ্ট। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে রক্ত ও লালার পরীক্ষা করা হয়।

শিশু ও বড়দের হামঃ

শিশুদের মতো বড়দেরও হাম হতে পারে। তাই এখন হামের প্রতিষেধক হিসেবে বড়দের জন্যও আছে ‘এমএমআর’ ভ্যাকসিন। এ ভ্যাকসিন দেওয়া না থাকলে হাম হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে সাধারণত একবার হাম হলে দ্বিতীয়বার আর এ রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শিশুরা ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যায়। তবে যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত মাথাব্যথা করে, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়, প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়, অতিরিক্ত বমি হয় এবং ডায়রিয়া শুরু হয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।  তবে সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে, কেননা হাম ছোঁয়াচে।

চিকিৎসাঃ

হাম হলে প্রথমেই সতর্কতা অবলম্বন না করলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে৷ হামের কারণে সাধারণত যে জটিলতাগুলো দেখা দেয়, সেসব হলো, মস্তিষ্কের প্রদাহ, মুখের প্রদাহ, অন্ত্রের প্রদাহ, পেটের অসুখ, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালির প্রদাহ, চোখের কর্নিয়ার প্রদাহ, কর্নিয়ায় আলসার বা ঘা হওয়া, কানের প্রদাহ, পুষ্টিহীনতা, শরীরের ওজন মারাত্মকভাবে কমে যাওয়া ইত্যাদি৷

প্রতিরোধঃ

সাধারনত প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম।এই রোগের একটি ভালো বিষয় হলো, সাধারণত একবার হলে আর হতে দেখা যায় না। সময়মতো শিশুকে হামের ভ্যাকসিন দিতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে সন্তানসম্ভবা মা এবং জটিল রোগে আক্রান্ত রোগী থেকে দূরে রাখতে হবে। হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করতে হবে।

গণ সচেতনতায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

17 − two =