শিশুদের মলে রক্ত

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

শিশুদের মলে রক্ত

শিশুরা ফুলের মত সুন্দর। যেখানে থাকে সেখানেই আনন্দে ভরিয়ে রাখে। সেই শিশুদের ও বিভিন্ন ধরনের অসুখ-বিসুখ হয়। শিশুদের অসুখকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। শিশুদের এইসব অসুখ- বিসুখের মধ্যে একটি হচ্ছে- মলের সাথে রক্ত যাওয়া। অনেক সময়ই শিশুদের মলের সাথে রক্ত যেতে পারে, তাতে আতংকিত না হয়ে যথাযথ চিকিৎসা করলে পুরোপুরি ভাল থাকবে।

শিশুদের মলের সাথে রক্ত যাওয়ার যে সব কারন রয়েছে তার মধ্যে আছে রেকটামে পলিপ, এনাল ফিসার পাইলস, প্রোকটাইটিস ইত্যাদি।
পলিপ হচ্ছে ছোট গোটা বা আঙ্গুলের মত অংশ যা পায়ুপথ বা রেকটামে হয়। এই আঙ্গুলের মত অংশে যখন মলত্যাগের সময় মলের ঘসা লাগে তখন তাজা রক্ত বের হয়।

অতিসাধারন একটি পরীক্ষা প্রকটোস্কোপি। তার মাধ্যমে এই রোগ সহজেই নির্নয় করা যায়। এই পলিপ কোলোনোস্কোপ বা সিগময়ডোস্কোপ নামক একটি যন্ত্রের সাহায্যে পায়ুপথেই অপসারন করা যায়। এই জন্য রোগীকে অজ্ঞান করতে হয় না বা হাসপাতালে থাকতে হয় না। অপসারনের দুই ঘন্টার মধ্যে রোগী বাসায় ফিরে যেতে পারে এবং খাওয়া দাওয়া করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে কলোনোস্কোপি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হয় তার কোন পলিপ আছে কি না। কারন কিছু ধরনের পলিপ আছে যা কোলন বা বৃহদন্ত্রে হয় এবং এগুলো পরবর্তীতে ক্যান্সাওে রূপান্তরিত হয়। সুতরাং এই জাতীয় রোগ শিশুদের আছে কিনা তা পূর্বেই নিশ্চিত হওয়া একান্ত জরুরী।

এনাল ফিসার শিশুদের একটি সাধারন রোগ, মাঝে মাঝেই শিশুর মল কষা বা শক্ত হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে জোরে বা প্রেশার দিয়ে মলত্যাগ করতে চাইলে সেই শক্ত মল মলদ্বার পিছন দিকে জোরে ঘষা দেয়, ফলে ঐ অংশে একটুখানি ছিড়ে যেতে পারে। ছিড়ে যাওয়াকেই এনাল ফিসার (Anal Fissare) বলে। এতে মলের সাথে বা টিস্যু পেপারে কয়েক ফোটা তাজা রক্ত যায়। শিশুদের এই রোগ ভীত হওয়ার কিছু নেই। কোল নরম করলে, যেমন শাক সবজী খেয়ে বা মিল্ক অব ম্যাগনেশিয়া জাতীয় ওষধ খেয়ে কোষ্ঠ স্বাভাবিক হলে এই রোগ অধিকংশ ক্ষেত্রে আপনা আপনি সেরে যায়। কিন্তু যদি সেরে না যায় বা বার বার হতে থাকে তাহলে অবশ্যই কোষ্ঠ একজন কোলোরেকটাল সার্জন বা গ্যাস্ট্রএস্ট্রারোলজকাল সার্জন এর শরাপন্ন হতে হবে।

পাইলসও শিশুদের হতে পাওে তবে খুব সাধারন নয়। সাধারনত খ্যাদ্যাবাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।
সারকথা হচ্ছে শিশুদের মলের সাথে রক্ত গেলে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারন চিকিৎসার মাধ্যমে এটি ভাল করা সম্ভব। তবে কিছু ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে। সেই জন্য সচেতনতা ও দ্রুত চিকিৎসা গ্রহনের কোন বিকল্প নেই।

আরও পড়ুনঃ পাইলস কি গোপন রোগ?

অধ্যাপক ডা: এসএমএ এরফান
বাংলাদেশ পাইয়োনিয়ার কোলোরেকটাল সার্জন
চেম্বার: জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ হসপিটাল
৫৫, সাতমসজিদ রোড,(জিগাতলা বাসষ্ট্যান্ড) ধানমন্ডি, ঢাকা
মোবাইল:০১৮৬৫৫৫৫৫১১, ০১৬২৬৫৫৫৫১১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

two × five =