প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা(PRP)

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা(PRP)

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাজমা: আমাদের শরীরের রক্তকোষকে সেন্ট্রিফিউজ করে তা থেকে প্লাটিপেট রিচ্ প্লাসমা প্রোটিনকেন্দ্রীভূত করাকে প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা বলে।

আর এই কেন্দ্রীভূত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা হয় তাকে প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা থেরাপি বলে।

এই থেরাপি অনেক নির্দেশনায় সহায়ক চিকিৎসা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করছে, প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা বিভিন্ন ধরণের গ্রোথ ফেক্টর ও সাইটোকাইন ধারণ করে যা ক্ষতিগ্রস্থ রিডানের চারদিকে স্টিম সেলকে জড়ো করে এবং নতুন করে কোষের বৃদ্ধিতে ও পুনরায় টিস্যু তৈরিতে সহায়তা করে।

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমার ধারণকৃত গ্রোথ ফেক্টর যেগুলো কোষের বৃদ্ধিতে এবং পৃথকী করণে সহায়তা করে তা হল:

০১. TGF-β (ট্রান্সফরমিং গ্রোথ ফেকটায়- বিটা)
০২. bGFG বেসিক ফাইব্র্রোব্লাস্ট গ্রোথ ফেক্টর)
০৩. PDGFa-b (প্লাটিলেট ডিরাইভড গ্রোথ ফেক্টর)
০৪. EGF (ইপিডামাল গ্রোথ ফেক্টর)
০৫. VEGF (ভাসকুলার এন্ডোযেলিয়াল গ্রোথ ফেক্টর)
০৬. CTGF (কালেকটিভ টিস্যু গ্রোথ ফেক্টর)

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা মেশিনের মাধ্যমে স্বতশ্চলভাবে খুব সহজেই প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা আলাদা করা যায়।প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা পৃথকীকরণের জন্য যে উপাদান প্রয়োজন তা হল:

০১. প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা কিট
০২. যন্দ্রেয় গতি বৃদ্ধি যা হ্রাসকরণ
০৩. সময়, তাপমাত্রা
০৪. ডোর ইনটারলক, ইমবেলেন্স কাট অফ, ওভারলোড প্রোটেকশন
০৫. প্রেস বাটন
০৬. হাইজেনিক, স্টোল ইত্যাদি

কীভাবে প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা পৃথকীকরণ করা যায়:

০১. প্রথমে শরীর থেকে ২০ সি.সি রক্ত নিতে হবে সিরিঞ্জের মাধ্যমে।
০২. ২০ সি.সি সিরিঞ্জের মধ্যে ২ সি.সিন এন্টিকোয়াগোলেন্ট নিতে হবে এবং ২০ সি.সি রক্তের সাথে মিশাতে হবে ভালভাবে।
০৩. পি.আরপি কিটের উপরের পোর্ট এর মধ্য দিয়ে মিক্সিং রক্ত ইনডোক্ট করতে হবে।
০৪. তারপর পি.আরপি মেশিনের F2 বাটন প্রেস করতে হবে প্রথম সেন্টিফিউজেশনের জন্য।
০৫. প্লাসমা এবং রেড ব্লাড সেল সম্পূর্ণভাবে ব্লক করতে হবে নব সমন্বয়ের মাধ্যমে।
০৬. আবার দ্বিতীয় সেন্টিফিউজেশনের জন্য F3 বাটন প্রেস করতে হবে।
০৭. উপরের পোর্ট এর সিলিকন লিড খোলে নিতে হবে পি.আর.পি কিট এর এবং ১০ সি.সি সিরিঞ্জ দিয়ে প্লার্টিলেট রিচ্ প্লাসমা তুলে নিতে হবে।

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমায় সুবিধাগুলো হলো:

কোষের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
নতুন টিস্যু তৈরিতে অবদান রাখে।
ক্ষতস্থান নিরাময়ে ভূমিকা রাথে।
ম্যাট্রিক্স মেরামতে ও অবদান রাখে।
মাথার চুল নতুন করে গজাতে সহায়তা করে।

প্লাটিলেট্ রিচ্ প্লাসমার পদ্ধতি:

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা ক্ষত জায়গায় মানুষের শরীরের মেসেন কাইমাল স্টিম কোষকে উদ্দীপীত করে বেশি করে প্লাটিলেটকে কেন্দ্রীভূত করে কোষের বৃদ্ধিতে এবং পৃথকীকরণে সহায়তা করে, যায় ফলে নতুন টিস্যু তৈরি হয় এবং ক্ষতস্থানে তাড়াতাড়ি মেরামতের সৃষ্টি হয়।

কোন কোন ক্ষেত্রে প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা ব্যবহার করা যায়:

০১. ট্রিগারিং ফিংগার টেনডন ইনজুরি)
০২. নি ডিজেনারেটিভ আরথ্রাইটস
০৩. থাম্ব ডিজেনারেটিভ আরথ্রাইটিস
০৪. অ্যালোপেসিয়া ( হেয়ার লস)
০৫. ইনফেকটেড ওন্ড
০৬. নন হিলিং ওন্ড
০৭. কনড্রোমেলাসিয়া
০৮. একিলিস টেনডোনাইটিস
০৯. সোলডার এডহেসিভ ক্যাপুলাইটিস ফ্লোজেন সোলভার)
১০. এলবো বারসাইটিস
১১. প্লান্টার ফাসাইটস
১২. ডেসেজড রোটেটর কাফ
১৩. নন ইউরিন বনি ডিফেক্ট
১৪. স্কিন পোয়স এবং ইলাস্টিসিটি
১৫. স্কিন পিগমেনটেশন ডিসআরডার
১৬. হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট
১৭. টনসিলেক্টমি
১৮. পেরটিডেক্টমি
১৯. থাইরইডেক্টমি
২০. হেড ও নেক ক্যান্সার
২১. চক্রনিত্তফেসিয়াল সার্জারি
২২. ফিক্সেশন অফ কার্টিলেজ বোন
২৩. লেজার প্রোসিডিউর
২৪. ইনফারটিলিটি
২৫. ডাইবেটিক ফুট আলসার
২৬. ভেনাস আলসার
২৭. সিভিয়ার বার্ন
২৮. নিউরোপেথিক আলসার
২৯. ডাইবেটিক নিউরোপেথি
৩০. সেলুলাইটিস
৩১. সারভাইকাল লেসিনেকটোসি
৩২. লাম্বার ফিউশন
৩৩. অ্যাক্স্যিলারি ডিসেকশন
৩৪. লিফট ফ্রাকচার
৩৫. বোন গ্রাফটিং ফর ডেন্টাল ইনপ্লান্টস
৩৬. সাইনাস লিফট্ প্রোসিডিউর
৩৭. ক্লোসার অফ ক্লেপ্ট লিপ এবং পেলেট

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা নিরাপদ কিনা:

সেহেতু নিজের শরীরের রক্তকে সেন্টিফিউজ করে প্লাটিলেটকে কেন্দ্রীভূত করা হয়ে সেহেতু এটি একটি নিরাপদ চিকিৎসা। এখানে কোন এলাজিক রিয়েকশন হয় না এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

প্লাটিলেট রিচ্ প্লাসমা কোন কোন ক্ষেত্রে করা যাবে না:

০১. ইনফেকশন
০২. ব্লিডিং ডিসআরডার
০৩. সেটাসটেটিক ডিসঅরডার
০৪. স্কিন ডিজেস

আরও পড়ুনঃ কোমড়ে ব্যথা হলে কি করবেন?

ডাঃ প্রিয়াঙ্কা
ডিপিআরসি হাসপাতাল লিঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

one × one =