জ্বরায়ু মুখের ক্যান্সার একটি প্রতিরোধ যোগ্য ব্যাধি।(পর্ব- ১)

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

জ্বরায়ু মুখের ক্যান্সার

বাংলাদেশে মহিলাদের মধ্যে জ্বরায়ুর মুখে ক্যান্সার বা “Carcinoma of cervix” বর্তমানে বহুল চিহ্নিত ও আলোচিত একটি ব্যাধি। বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন ১৮ জন নারী মারা যাচ্ছেন জরায়ু মুখের ক্যান্সারে। প্রতিনিয়ত এই ঘাতক ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন আপনার মা, স্ত্রী, বোন অথবা আপনার প্রিয় কন্যা সন্তান। অথচ আপনি জানেন কি- জরায়ূ মুখের ক্যান্সার একটি প্রতিরোধ যোগ্য ব্যাধি। আপনার একটু সচেতনতাই পারে এই ব্যাধি থেকে আপনার আপনজনকে মুক্তি দিতে।

জরায়ূ মুখের ক্যান্সার কি?

১.জরায়ূ মুখের ক্যান্সার একটি ক্ষতিকর টিউমার/ক্যান্সার যা জরায়ূর নিচের অংশ/ Cervix কে আক্রান্ত করে।

২.এটি একটি ভাইরাস দ্বারা যে-যার নাম HPV বা হিউম্যান প্যাপিলমা ভাইরাস।

৩.সক্রামন হবার পর থেকে প্রায় ১০-১২ বছর পরে রোগটি ধরা পড়ে।

 কাদের হয়:

⇒শতকরা ৮০ ভাগ নারী তাদের জীবনে HPV ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হন।

⇒যৌন সংস্পর্শ এই রোগ ছড়ানোর মধ্যম অধিক সেক্সয়াল পার্টনার, অনৈতিক যৌন জীবন ও অল্প বয়সের যৌন সংস্পর্শের কারনে এ রোগ       হয়ে  থাকে।

⇒অধিক সন্তান প্রসবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, পিলের ব্যবহার এই রোগটি ত্বরান্বিত করে।

যৌন সক্রিয় প্রতিটি নারী ঝুকির সম্মুখীন

লক্ষণঃ

প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগের লক্ষন প্রকাশ না, লক্ষণ প্রকাশ পায় রোগের অদিকতর অগ্রবতী ধাপে। লক্ষণ গুলো হল:

১.অনিয়মিত রক্তপাত(দুই মাসিকের মাঝে রক্তপাত)

২.সহবাসের পর রক্তপাত

৩.মাসিক বন্ধ হবার ১ বছর পরবর্তী সময়ে রক্তপাত

৪.দুর্গন্ধ যুক্ত সাদাস্রাব

পূর্ব লক্ষণ:

HPV ভাইরাস আক্রান্ত হবার পর ১০-১২ বছর পর রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এ সময়টাকে প্রি-ইনভেসিভ ধাপ বলা হয়। এ সময় কোন লক্ষণ যাকে না তবে ঝুকিযুক্ত নারীদের কিছু পরীক্ষা দ্বারা নির্ণয় করা যেতে পারে।

যেমনঃ VIA, PAP’s, HPV-DNA.
প্রি-ইনভেসিভ ধাপে ব্যাধি নির্ণয় করে সমাধান সহজ ও সম্পূর্ণ হয়।

প্রতিরোধ ঃ

যেহেতু প্রতিটি নারীর কিছুটা ঝুকি থেকে যায় তাই ক্যান্সার হাবার আগেই আমরা কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে পারি- যেমন:

১.নিয়মিত জরায়ু মুখের পরীক্ষা

২.বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ করা

৩.ধূমপান বর্জন করা

৪.জরায়ূ মুখের ক্যান্সারের টিকা প্রদান.

আরও পড়ুনঃ জ্বরায়ু মুখের ক্যান্সার একটি প্রতিরোধ যোগ্য ব্যাধি।(পর্ব- ২)

ডাঃ উমা নাগ

এম.বি.বি.এস বি.সি.এস(স্বাস্থ্য), এম.সি.পি.এস(গাইনী এন্ড অবস)
ডি.জি.ও(গাইনী এন্ড অবস), এফ.সি.পি.এস(গাইনী এন্ড অবস)
সুপার স্পেশালিস্ট, রিপ্রোডাকটিভ এন্ডোক্রাইনোলজি এন্ড ইনফাটিলিটি(Enrolled)

যোগাযোগঃ-ডিপিআরসি হাসপাতাল( ২৯ প্রবাল হাউজিং,রিং-রোড,শ্যামলী,ঢাকা-১২০৭)
সিরিয়ালের জন্য ফোনঃ-  +8801997702001; +8801997702002
www.dprcbd.com
www.medicalbd.info

গণ সচেতনতায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

three × four =