ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এখনই সময়!

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •   
  •  

ডায়াবেটিসঃ শরীরে যখন ইনসুলিনের উৎপাদন কমে যায় বা ইনসুলিন উৎপাদন হওয়ার পরও যখন কাজ করতে পারে না, তখন রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ থাকে। এই অবস্থাকে আমরা ডায়াবেটিস বলছি। যখন খালি পেটে গ্লুকোজের মাত্রা ৭-এর বেশি থাকে আর খাওয়ার পর ১১-এর বেশি থাকে, তখন সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলে।

দেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যাঃ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (নিপোর্ট)-এর একটি জরিপে দেখা গেছে, দেশে মোট ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এদের মধ্যে ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের সংখ্যা ২৬ লাখ আর ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের সংখ্যা ৮৪ লাখ। প্রকৃতপক্ষে বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা হয়তো আরো বেশি।

যে সব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হতে হবেঃ ১) ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা, ২) দুর্বল লাগা, ঘোর ঘোর ভাব আসা, ৩) ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া, ৪) সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া, ৫) মিষ্টি জাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া, ৬) কোন কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া, ৭) শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলে দীর্ঘদিনেও সেটা না সারা, ৮) চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব, ৯) বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা, ১০) চোখে কম দেখতে শুরু করা

কাদের ঝুঁকি বেশিঃ যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন ,চাচা,কাকা, মামা , ফুফু, পিসি, মাসি, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ঠাকুরদাদা-ঠাকুরমা, দাদু-দিদিমা বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের এই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে। যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে কমপক্ষে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদেরকেও বছরে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করাতে হবে। এছাড়া যারা নিয়মিত হাঁটাচলা বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না, অলস বা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন তাদেরও এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এছাড়া নারীদের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস রোগ হতে পারে। যাদের হৃদরোগ রয়েছে, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যেসব শিশুর ওজন বেশি, যাদের বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ডায়াবেটিস রয়েছে, যাদের মায়ের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস হয়েছিল, সেই সব শিশুর ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

কী করতে হবেঃ যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। যাদের শিশুর ঘনিষ্ঠ স্বজনদের ডায়াবেটিসের ইতিহাস রয়েছে, তাদেরকেও বছরে অন্তত একবার করে পরীক্ষা করাতে হবে। ডায়াবেটিস যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যাবে, সেই রোগীর জন্য সেটা ততো ভালো।

ডায়াবেটিসের প্রকারভেদঃ ডায়াবেটিস নিয়ে সর্বশেষ গবেষণাটি করেছে সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ডায়াবেটিস কেন্দ্র এবং ফিনল্যান্ডের ইন্সটিটিউট ফর মলিক্যুলার মেডিসিন। আর এতে ১৪,৭৭৫ রোগীর ওপর নজরদারী করা হয়, বিস্তারিত বিশ্লেষণ করা হয় তাদের রক্তের। গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে ল্যানসেট ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রিনোলজিতে। এতে দেখানো হয়েছে যে ডায়াবেটিস রোগীদের পাঁচটি সুনির্দিষ্ট ক্লাস্টারে ভাগ করা যায়।

ক্লাস্টার ১ – এটা মোটা দাগে টাইপ ১ ধরণের তীব্র মাত্রার অটোইমিউন ডায়াবেটিস, যা মানুষকে তখনই আক্রান্ত করে যখন সে বয়সে তরুণ এবং তাকে দেখতে স্বাস্থ্যবান মনে হয়। এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না।

ক্লাস্টার ২ – এরা ওই ধরণের ইনসুলিন-ঘাটতির ডায়াবেটিস রোগী যাদেরকে শুরুতে ক্লাস্টার ১ এর রোগীদের মতোই মনে হয়। এরা তরুণ, এদের ওজন নিয়ন্ত্রণে, কিন্তু ইনসুলিন উৎপাদনে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে – যদিও এদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কোন গলদ নেই।

ক্লাস্টার ৩ – এরা তীব্র ইনসুলিন-প্রতিরোধী ডায়াবেটিস রোগী, যারা সাধারণত অতিরিক্ত মোটা। এরা শরীরে ইনসুলিন তৈরি করছে, কিন্তু এদের শরীর সেই ইনসুলিনে সাড়া দেয় না।

ক্লাস্টার ৪ – এটি ওজনের সঙ্গে সম্পর্কিত হালকা-ধরণের ডায়াবেটিস, যা অসম্ভব স্থূলকায় মানুষের মধ্যে দেখা যায়। এ ধরণের মানুষ আবার মেটাবোলিজমের দিক থেকে ক্লাস্টার ৩ ধরনের মানুষদের চেয়ে বরং স্বাভাবিক মানুষদের কাছাকাছি।

ক্লাস্টার ৫ – বয়সের সঙ্গে সম্পর্কিত হালকা ধরণের ডায়াবেটিস, যা ওই ধরণের মানুষদের হয় যখন তাদের বয়স বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিসের আরো কিছু প্রকারভেদঃ টাইপ ১, টাইপ ২, যুবেনাইল, ডায়াবেটিস ইন প্রেগন্যান্সী, বিশেষ অবস্থায় ডায়াবেটিস, চাইল্ডহুড ডায়াবেটিস।

ডায়াবেটিসের জটিলতাঃ দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে পায়ে ক্ষত, পা কাটতে লাগা, কিডনি, লিভার, চোখ, ব্রেইন, রক্তনালী , হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যায়, চুল পড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গও ক্ষতির শিকার হতে পারে।

ডায়াবেটিসের জটিলতার ফলে সমস্যাসমূহঃ ডায়াবেটিসের ফলে চোখে কম দেখা, ঝাঁপসা দেখা, ছানি পড়া, এমনকি চোখ অন্ধও হয়ে যেতে পারে । পায়ে ঘা, পায়ে ক্ষত, গ্যাংগ্রীন হওয়াসহ পা কাটা প্রয়োজন হয়ে থাকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া, কিডনী বিকল, শরীরের ত্বক নষ্ট হয়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, মাথা ঠিকমত কাজ না করা, ব্রেইনস্ট্রোক হওয়া, রক্তনালী ব্লক হয়ে থাকে।

ডায়াবেটিসে পায়ের সুরক্ষাঃ ডায়াবেটিস যাদের আছে তাদের কোন না কোনভাবে শতকরা ২৫ জনের পায়ে ক্ষত বা আলসার হয়ে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর পায়ের ঘা হওয়ার সম্ভবনা অন্যদের চেয়ে ৪০ গুন বেশি। ডায়াবেটিসের সঠিক চিকিৎসা ও পায়ের যত্ন ঠিকমত নিলে শতকরা ৮৫ ভাগ পা কাটা প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেজন্য ডায়াবেটিসের রোগীগণ সম্ভব হলে কমপক্ষে ছয় মাসে একবার ডায়াবেটিক ফুটকেয়ার চিকিৎসককে দেখাবেন।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়ঃ টাইপ-২ ধরণের ডায়াবেটিসের ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই আগেভাগে সতর্ক থাকলে, শারীরিক পরিশ্রম করলে এবং খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ আনলে ডায়াবেটিস ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত হাঁটা,ব্যায়াম, সাঁতার,খেলাধূলা, টাটকা ফলমূল, শাক-সবজি খাওয়ার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। সবজি, ফল,শীম এবং মোটা দানার খাদ্য শস্য।স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সারডিন, স্যামন এবং ম্যাকেরেল। পরিমাণে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে বারে বারে খাওয়া দরকার।

ডায়াবেটিসে সুশৃঙ্খল জীবন যাপনঃ ডায়াবেটিস প্রধানত টাইপ-ওয়ান ও টাইপ-২, এই দুইভাবে আমরা ভাগ করি। আমাদের দেশে ৯৫ শতাংশ রোগী টাইপ-২ ধরনের। টাইপ-ওয়ান হচ্ছে যাদের শরীরে একেবারেই ইনসুলিন তৈরি হয় না। তাদের ইনসুলিন বা পুরোপুরি ওষুধের ওপর নির্ভর করতে হয়। সেজন্য সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। টাইপ-২ ধরনের ক্ষেত্রে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে রাখলে ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ঠেকিয়ে রাখা বা বিলম্বিত করা সম্ভব। এজন্য বেশ কিছু পরামর্শঃ

১. প্রতিদিন এক ঘণ্টা হাঁটুন, ২. জীবনধারা পাল্টে দিন, ৩. ধূমপান ও মদ্যপান ছেড়ে দিন, ৪. মিষ্টি পরিহার করুন, ৫. রক্তে চিনির মাত্রার ওপর নজর রাখুন

ডায়াবেটিসের চিকিৎসা নিয়ে কিছু কথাঃ ডায়াবেটিস হলে কার কাছে যাবেন? কীভাবে বুঝবেন ডায়াবেটিস হয়েছে? ডায়াবেটিস হলে কি খাবেন কি খাবেন না? ডায়াবেটিসে পায়ের যত্ন কীভাবে নিতে হয়? ডায়াবেটিসের জটিলতা কি কি হতে পারে? ডায়াবেটিসে জীবন-যাপন কেমন হওয়া উচিত? ইনসুলিন কখন নিবেন কখন নিবেন না? ডায়াবেটিসে কখন হাঁটবেন কখন হাঁটবেন না? ডায়াবেটিসের সব রোগীর চিকিৎসার ধরণ কি একই হবে? ডায়াবেটিসের সাথে অন্যান্য কি কি রোগের সম্পর্কূ আছে? এরকম বহু প্রশ্নের উত্তর জানতে একজন ডায়াবেটিস চিকিৎসককে দেখান।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ঃ ডায়াবেটিস কখনও পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এর লক্ষণগুলো দূর করা যায় এবং নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

১. গ্রিন টি, ২. পাকা পেঁপে, ৩. ওজন স্বাভাবিক, ৪. প্রচুর হাঁটাহাঁটি করা, ৫. সালাদ খাওয়া, ৬. পূর্ণ শস্যজাতীয় খাদ্য খান, ৭. কফি পান করুন, ৮. ফাস্টফুড পরিহার করা, ৯. মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকা।

ডায়াবেটিস হলে কাকে দেখাবেনঃ অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে ডায়াবেটিস হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হবে ! আসলে পরিস্থিতি সাপেক্ষে ডায়াবেটিসের ধরণ অনুযায়ী আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জরুরী পরিস্থিতি হলে চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে। তবে আগে ভাগে নিয়ম মেনে চিকিৎসকের নির্দেশমত পরীক্ষা -নিরীক্ষা করে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চিকিৎসককে দেখালে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মত জটিল পরিস্থিতি প্রায়ই এড়ানো সম্ভব। সুতরাং আপনার ডায়াবেটিস হলে নিয়মমত নিয়মিতভাবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করে এমন একজন ডায়াবেটিসের চিকিৎসককে দেখাবেন। দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর চেষ্টা করবেন না। দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর মাধ্যমে অনেক সময় আপনার সরু রক্তনালীসমূহের ক্ষতি হওয়ার খুব সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে দ্রুত ডায়াবেটিস কমানোর অনুরোধ করবেন না । ধীরে ধীরে ডায়াবেটিস কমানো আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে। ঝুঁকিপূর্ণ সকল ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করে দেখতে হবে তার ডায়াবেটিস আছে কিনা। মনে রাখতে হবে প্রত্যেক ব্যক্তি আলাদা সবার চিকিৎসাও আলাদা। সুতরাং একজন আরেকজনের কাছে শুনে ওষুধ খাবেন না । প্রত্যেকের প্রয়োজন আলাদা আলাদা প্রেশক্রিপশন। সুতরাং ডায়াবেটিস হলে প্রত্যেকে আলাদাভাবে ডায়াবেটিসের চিকিৎসককে দেখিয়ে নিজের চিকিৎসা নিবেন।

ডায়াবেটিক রোগীদের মানসিক সমস্যাঃ দীর্ঘদিন থেকে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তারা অদূর ভবিষ্যতে নানাবিধ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। আবার যারা মানসিক রোগে ভুগছেন তাদের ডায়াবেটিস হলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। ডায়াবেটিসে বিষন্নতা, সিজোফ্রেনিয়া, ডিমনেশিয়া (স্মৃতিভ্রষ্টতা)

ডায়াবেটিসের সচেতনতা কার্যক্রমে গণমানুষের অংশগ্রহণ বাড়ানোঃ ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের অন্তত ৫০ শতাংশ জানেন না যে, তার ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সবার সচেতনতা বৃদ্ধি খুব জরুরি। ৬৫ বছরের বেশি বয়সের ক্ষেত্রে প্রিতি ৫ জনের ১ জন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত দুই তৃতীয়াংশ মানুষ শহরে বাস করে। গর্ভধারণ ও সন্তান প্রসবের সাথে সম্পর্কিত প্রতিরোধযোগ্য জটিলতায় ৯৯ শতাংশ মায়ের মৃত্যু ঘটে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আর দক্ষিণ এশিয়ায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের হার ২৫ শতাংশ। দেখা গেছে গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ৬৫ শতাংশ পরবর্তী গর্ভধারণের সময় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস দেখা দেয়। ডাযাবেটিসের ভয়াবহ পরিণাম থেকে রক্ষা পেতে যাদের ডায়াবেটিস আছে আর দেরি না করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে হবে এবং ডায়াবেটিস না থাকলে প্রতিরোধে এখনই সচেতন হতে হবে। আগামী প্রজন্মকে ডায়াবেটিসের ভয়াবহ প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য ডায়াবেটিস প্রতিরোধে আপনিও অংশ নিন।

ডা. অসিত মজুমদার
ডায়াবেটিস ও ফুট কেয়ার বিশেষজ্ঞ
রোগী দেখবেনঃ
শনি রবিবার বিকেল ৩ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা
বুধবার সকাল ৭:৩০ মিনিট থেকে ১২টা
চেম্বার
ডিপিআরসি হাসপাতাল লিঃ
১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা সিরিয়ালের জন্য কল করুনঃ 09666774411

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

three × two =