১. গর্ভধারণের কমপক্ষে তিন মাস আগে মাকে MMR Injection দিতে হবে, যাতে তার Rubella German Measles না হয়।
২. গর্ভবতী মায়ের উচ্চরক্তচাপ বা ডায়াবেটিস থাকলে অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে।
৩. গর্ভধারণের তিন মাস পর্যন্ত গর্ভবর্তী মায়ের কোন ধরনের Xray বা Radiation করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
৪. ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে সেটা অবশ্যই ত্যাগ করতে হবে।
৫. গর্ভবর্তী অবস্থায় যেকোন রকম ওষুধ খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অন্যান্য হৃদরোগ প্রতিরোধে করণীয়:
কম বয়সী ছেলে বা মেয়ের গলাব্যথাসহ জ্বর হলে, তাকে এক সপ্তাহের জন্য পেনিসিলিন ট্যাবলেট দিয়ে চিকিৎসা করলে ভবিষ্যতে হৃদরোগ হওয়ার আংশকা অনেকটা হ্রাস পাবে। আবার স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের মাধ্যমেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমানো যায়। হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচল জনিত কারণে হার্ট অ্যাটাকের মত মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা প্রতিরোধে খাবার এবং জীবনযাপনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
যেমন:
১. প্রতিদিন কমপক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময় হাঁটা বা ব্যায়াম অথবা শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। এটা হৃদরোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।
২. প্রচুর পরিমাণে ফলমুল, শাকসবজি, তরকারি, টক জাতীয় ফল খেতে হবে। অপরদিকে লবণ ও চিনি কম খেতে হবে।
৩. বেশি ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার বর্জন করতে হবে।
৪. মদ্য পান, জর্দা, তামাক, ধুমপান ইত্যাদি বন্ধ করতে হবে। ধূমপান ছাড়ার পরবর্তী ১০ বছর সময় পর্যন্ত হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে যায়।
৫. ফাস্টফুড, টিনজাত ও শুকনো খাবার খাওয়া কমাতে হবে।
৬. অতিরিক্ত পরিমাণে চা, কফি এবং কোমলপানীয় বর্জন করতে হবে।
৭. ধুমপান, অ্যালকোহল বা যেকোন ধরণের জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি এবং কিছু কিছু ওষুধ হৃদরোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৮. শরীর চর্বি জমতে দেয়া যাবে না। এটা হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত ঝুুঁকিপূর্ণ্ সাধারণভাবে পুরুষের কোমরের মাপ ৩৭ ইঞ্চির কম ও মহিলাদের ৩২ ইঞ্চির কম হওয়া উচিত। বিএমই ২৫ এর চেয়ে যত বেশি হবে, সেটা হৃদরোগের জন্য ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। ওজন যত কিলোগ্রাম হবে, তাকে উচ্চতা যত মিটার তার বর্গ দিয়ে ভাগ করে বিএমই নির্ণয় করতে হয়।
৯. ৪০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রাণিজ চর্বি খাওয়া যাবে না, তবে উদ্ভিদ তেল খেতে হবে যেমন- সয়াবিন, সূর্যমুখী, সরিষার তেল ইত্যাদি। সামুদ্রিক মাছ খেতে হবে। বাদাম হৃদরোগের জন্য উপকারী। বাদামের ভেসজ প্রোটিন, ফলিক এসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফ্লাভোনয়েডস, সেলিনিয়াম ও ভিটামিন-ই হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
১০. দাম্পত্য জীবনে সুখী থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং ধর্মকর্মে মনোযোগী হতে হবে।
১১. মানসিক চাপ অর্থ্যাৎ অনিদ্রা, টেনশন, ভয়, ক্রোধ, হতাশা, রাগ, প্রতিশোধ প্রবণতা, হিংসা ইত্যাদি বর্জন করতে হবে। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কমপক্ষে সপ্তাহে একদিন রক্তচাপ পরীক্ষা এবং মাসে একবার করে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করতে হবে।
১২. রক্তের লিপিড প্রোফাইলে সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে।
১৩. বুকে ব্যথা থাকলে ইকোকার্ডিওগ্রাম ডপলার এবং হৃদরোগে বিশেজ্ঞর পরামর্শ এনজিওগ্রাম করে নিশ্চিত হবে হবে হৃদপিন্ডে ব্লক আছে কিনা।
 medicalbd সাস্থের সকল খবর।
medicalbd সাস্থের সকল খবর।




 
											 
											 
											 
											 
											