নাম জেরিন তাসনিম রাফা একজন মেধাবী মেডিকেল অধ্যয়ণরতা ছাত্রী, এক মরন ব্যাধি তে ভুগছে। কিন্তু হার মানে নি আপু সেই জীবন যুদ্ধে।লড়াই করছে প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে । আমরা তার শত্রুর (AML- একিউট মাইলোয়েড লিউকেমিয়া) সাথে লড়াই করতে না পারলেও তার পাশে থেকে তাকে সাহসতো অন্তত দিতেই পারি ।
তার-ই পেক্ষিতে আমরা (চাইনিজ মেডিকেল এ্যালুমনাই বাংলাদেশ) একটা ফান্ডের ব্যবস্থা করেছিলাম যেইখানে যে যতটুকু পেরেছে সামর্থ্য অনুযায়ী দিয়েছেন। তার সাথে সিএমএ এর ফান্ড মিলিয়ে আজ আপুর হাতে দিয়ে এসেছি। বলেছি দাতার কথা। অনেক খুশি হয়েছেন আপু এবং আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তার সাথে বলেছেন তার জন্য দোয়া করতে। আপুর বাবা বলেছেন আপু দারুণ নাচতে পারেন সাথে গাইতেও পারেন। আপু এবং তার বাবা বলেছেন আপু সুস্থ হলে আমাদের গান শুনাবেন এবং আপনারা যেনো আসরে আসেন।
আপুর বর্তমান অবস্তা: গতকাল আপুর অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো তাই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে এবং ব্লাড দেওয়া হয়েছে এবং এখানো ব্লাড দেওয়া হচ্ছে। বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট এর জন্য আপুর সহদোর ভাইয়ের সাথে মিল(Match) করতে দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মিল(Match) হয়নি তাই কাল অথবা পরশু আবারোও আপুর বাবা মা এর টা নিয়ে দেখা হবে মিল (Match) হয় কিনা যা জানা যাবে আগামী ৩ সপ্তাহ পর। মিলে গেলে-ই ট্রান্সপ্লান্ট করার মাধ্যমে ঘাতক নির্মূল করা হবে ইনশা আল্লাহ। যার জন্য দরকার অনেক টাকার। তাই বলবো যে যতটুকু পারেন সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসুন।
এই ব্যাধি আমার আপনার যে কারোর-ই হতে পারতো অথবা পারে। তাই আসুন তার পাশে থাকি। দেখিয়ে দেই ঘাতকে আমরা প্রতিহত করতে পারি ঐক্যের মাধ্যমে। বিদায়কালে সময় আংকেল(আপুর বাবা) বলছিলেন আপুরও চায়না তে আসার কথা ছিলো এমবিবিএস পড়ার জন্য কিন্তু আংকেল এর অসুস্থতার জন্য পড়ে আর পাঠাননি। প্রশংসা জোয়ারে ভাসালেন চায়নাকে। আমি মন থেকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা করছি আপনাদের সবার জন্য- যারা এগিয়ে এসেছেন বিশেষ করে যারা চায়না তে আছেন। সত্যিই আপনারা এগিয়ে এসেছেন বলেই সাহস পাই সমাজে ভালো কিছু করার। পাশে থাকবেন সব সময় যাতে ভালো কিছু করতে পারি-ডাঃ শারমিন।
পরিশেষে একটি কথাই শুধু বলতে চায় এই পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী, আমরা কেউ্ই এই পৃথিবীর চিরস্থায়ী বাসীন্দা নই- ‘মরণ একদিন ছোঁবল দিবেই’। তাই আপনার গচ্ছিত সোনাদানা অন্ধকারে নিমজ্জিত ফুলগুলোর জন্য ব্যয় করুন, ব্যয় করুন এই ধরণের মরণব্যাধিতে আক্রান্ত মহাশূণ্যের যাত্রীদের পিছনে যারা আজ অথবা কাল এই বিশ্বের প্রজন্মের কর্ণধার।
আরও পড়ুনঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ।