আমলকী একটি অতিপরিচিত ফল বিভিন্ন রোগে এর ব্যবহার

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

বিভিন্ন রোগে আমলকীর ব্যবহার 

শহর কিংবা গ্রামে আমলকী একটি অতিপরিচিত ফল। আগের দিনে গ্রামে যথেষ্ট আমলকীগাছ দেখা যেত। আজকাল আর তেমন চোখে পড়ে না। কারণ, কেউ শখ করে আমলকীগাছ লাগায় না। তবুও শহরে মাঝে মাধ্যে কাঁচা আমলকী বেচতে দেখা যায়। আমলকীর গাছ বেশ বড় হয়। কান্ড অনেক বড়। হিমালয়ের পাদদেশে প্রচুর আমলকীগাছ দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছের পাতা চিকন তেঁতুল পাতার মতো। শরৎকালে এই গাছে ফুল আসে। শীতের শুরুতে ফল ধরতে শুরু কেরে। শীতের শেষে বাজারে আসে।

বিভিন্ন রোগে এর ব্যবহার

⇒বহুমূত্র রোগে : আমলকী কেটে টুকরো করে রোদে শুকাতে হবে। পরে শুকনো আমলকীর গুঁড়ো ৩ গ্রাম এক চামচ খাঁটি মধুর সাথে মিলিয়ে খেলে বহুমূত্র রোগে উপকার হয়।

⇒হিক্কা বা হেচকি রোগে : একটা কাচের গ্লাসে ৫ গ্রাম আমলকী অপর আরেকটি কাচের গ্লাসে ১৫ গ্রাম মিছরি রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উভয় গ্লাসের পানি একত্রে মিশিয়ে চার-পাঁচ ঘনআ অন্তর তিনর চামচ করে খাওয়ালে হিক্কা বন্ধ হয়।

⇒অম্লরোগ : প্রতিদিন সকালে ৪ গ্রাম পরিমাণ আমলকী পাতার রস তালমিছরির সাথে খেলৈ অম্লরোগ ভালো হয়।

⇒কোষ্ঠকাঠিন্য : আমলকী ৪গ্রাম, হরীতকী ৪গ্রাম এবং বহেড়া চার গ্রাম রাতে এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে শুধু ভেজানো পানিটুকু খান। প্রতিদিন সকালে একবার খেলে কোষ্ঠবদ্ধতা দূর হয়।

⇒চুল পড়তে থাকলে : কাঁচা আমলকী বেটে প্রতিদিন গোসলের আধা ঘন্টা আগে মাথার তালুতে মাখলে চুল পড়া বন্ধ হয়। আমলকী বাটার সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে মাথার তালুতে দিলে অনিদ্রা দূর হয়।

⇒চোখ উঠলে : কাঁচা আমলকীর রস এক ফোঁটা করে দিনে দুইবার দিলে চোখ ওঠা ভালো হয়। তিনি দিন দিতে হবে। তবে রস বের করতে হবে পাথরের ওপর অথবা স্টিলের হামান দিস্তায়।

⇒শ্বেত প্রদরে : শুকনো আমলকীর বীজের গুঁড়া ৩ গ্রাম এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে রোজ সকাল-সন্ধ্যায় এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাওয়া যায়। যদি প্রসাব দ্বারে জ্বালাপোড়া থঅকে, তবে তাও ভালো হয়ে যায়।

⇒নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : শুকনো আমলকী পানিতে বেটে মাথার তালুতে দিলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।

⇒মাথাধরা রোগে : শুকনো আমলকী বেটে তার সাথে চন্দন ঘষে ভালো করে মিশিয়ৈ কপালে লাগালে মাথাধরা ভালো হয়। কবিরাজরা বলেন, একটা কমলালেবুতে যত উপদান থাকে, তার চেয়ে বিশ গুণ বেশি উপাদান আছে আমলকীতে। কবিরাজের পরামর্শ মোতবেক ব্যবহার করলে বহু রোগ ভালো হয়।

 

গণ সচেতনতায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

two × 5 =