হেপাটাইটিস লক্ষন, ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা (পর্ব- ৩)

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

হেপাটাইটিস লক্ষন, ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা

লক্ষণঃ

প্রথমদিকে হেপাটাইটিস বি ও সি আক্রান্ত ব্যাক্তির দেহে কোনো লক্ষণ নাও থাকতে পারে। অল্প জ্বর, পেটের উপরদিকে অস্বস্তি বোধ করা মাথা ঘোরা, খিদে কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ থাকে। ফলে সাধারণ মানুষ সহজে রোগটি সম্পর্কে সচেতন হতে পারে না। শতকরা ৯০ জনের ক্ষেত্রে কোনো লক্ষন নাও থাকতে পারে। বাকি ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে প্রস্রাবের রঙ ও চোখের রঙ হলুদ হওয়া, পা ফোলা এবং রেনাল ফেলিওর হয়ে কোমায় চলে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।

হেপাটাইটিস ডায়াগনোসিসঃ

রক্ত পরীক্ষা করতে হবে। লিভার ফাংশন পরীক্ষা করে বিলিরুবিন, এস.জি.পি.টি,এ.জি.ও.টি ইত্যাদি দেখা হয়। এছাড়া আলট্রাসোনোগ্রাফি, প্রোথম্বিন টাইম ইত্যাদি দেখা হয়।

চিকিৎসাঃ

কারণ অনুযায়ী আলাদা আলাদা চিকিৎসা করা হয়। ক্রনিক ভাইরাল চিকিৎসায় অনেক ধরনের ওষুধ ও ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হয়। যদিও চিকিৎসা খরচ অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। সাধারণত শিশুর জন্মের পর হেপাটাইটিস-বি ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হয়। যদি কোনো কারণে বাচ্চাকে ভ্যাকসিন না দেওয়া হয় তবে যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিত।

তিনবারে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। প্রথমবার দেওয়া হয় জন্মের ঠিক পরে। এরপর দেওয়া হয় জন্মের ঠিক এক মাসের মাথায়, আর শেষ ভ্যাকসিন দেওয়া হয় জন্মের পর ছয় মাসের মাথায়।

হেপাটাইটিস-সি-এর লক্ষণ বা উপসর্গ সবই হেপাটাইটিস-বি-এর মতো। তবে এক্ষেত্রে রোগের স্থায়িত্ব এবং লিভারের ক্ষতি বয়সের ওপর নির্ভর করে না। হেপাটাইটিস-সি-একবার হলে যেকোনো বয়সইে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। হেপাটাইটিস-বি-মতো ওষুধ ও ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা হয়।

আরও পড়ুনঃ হেপাটাইটিস কি ও চিকিৎসা (পর্ব- ২)

গণ সচেতনতায় ডিপিআরসি হসপিটাল লিমিটেড

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

10 − eight =