হার্ট দুর্বল বা হার্টে সমস্যা রোগীদের যা থেকে সাবধান থাকতে হবে

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

হার্ট দুর্বল বা সমস্যা জনিত রোগীদের সাবধানতা

মূলত শব্দ দূষণ হার্ট অ্যাটাকের জন্য একটি অন্যতম প্রধান কারণ। আর এর ফলে হার্টবিটও অনেক দ্রত হতে হয়ে থাকে ।  হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বিশ্বে। নানা কারণের মধ্যে শব্দদূষণও হার্ট অ্যাটাকের একটি বড় কারণ। বিশেষ করে বড় গাড়ি বা প্লেনের বিকট শব্দে অনেক সময় মানুষের হার্টবিট অনেক দ্রত হতে থাকে৷ আর তা থেকে অনেক সময় কারো কারো নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়, মাথাও ঘোরে৷ এরপরও অবশ্য মানুষ বোঝে না যে শব্দদূষণই এ সব উপসর্গের প্রধান কারণ৷ আর অন্যান্য যে বিষয়গুলো দায়ি তা নিম্নে উল্লেখ করা হল:

আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন

মানসিক চাপ থেকে হার্ট অ্যাটাক

জার্মানির গুটেনব্যার্গের স্বাস্থ্যবিষয়ক এক গবেষণা থেকে জানা যায় যে, বাইরের অতিরিক্ত শব্দের কারণে অনেকেই মানসিকভাবে চাপ অনূভব করেন৷ আর এই চাপ থেকে হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে৷

অতিরিক্ত শব্দ

অতিরিক্ত শব্দ, বিশেষ করে প্লেনের শব্দে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ এক তথ্য দেখা গেছে ৩৫ থেকে ৭৪ বছর বয়সি ১৫,০০০ হাজার নারী-পুরুষ নিয়ে দীর্ঘ পাঁচবছর ধরে করা এক সমীক্ষায়৷ জার্মানিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ মানুষ অতিরিক্ত শব্দ, বিশেষ করে প্লেনের শব্দে হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন৷

প্লেনের বিকট শব্দ

শব্দদূষণ থেকে জার্মানিতে মানুষের মধ্যে অসুস্থ  হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে৷ বিশেষ করে অতিরিক্ত শব্দ বা প্লেনের শব্দে যে ঝুঁকি বেশি, তা বেশ স্পষ্টভাবেই লক্ষ্যণীয়, জানান ডা. ব্লাউ৷

দুই দলে বিভক্ত

শব্দদূষণের কারণে যে অসুখ হয়, তাকে সাধারণত দু’ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে৷ যেমন একদল মানুষ খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারেন যে শব্দের কারণে তাঁদের হৃদপিণ্ডে সমস্যা হচ্ছে৷ অন্যদিকে আরেকদলের মধ্যে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, যা পরে হঠাৎ করেই ধরা পড়ে৷

আক্রান্তদের ওষুধ

যাদের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে তাঁরা শব্দদূষণে আক্রান্ত, তাঁদের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়৷ এর মধ্যে একটি রক্তে জমাট বাধা বন্ধ করতে এবং অন্যটি হার্টবিট স্থিতিশীল রাখার জন্য৷

ব্লাড প্রেশার

ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে হৃদপিণ্ড এবং ব্লাড প্রেশারের মধ্যে ৷ যাদের বাইরের শব্দে খুব বেশি অসুবিধা হয় তাঁদের নিয়মিত প্রেশার বা রক্তচাপ পরীক্ষা করা উচিত৷ কারণ মানুষের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে কিছুটা হলেও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব৷ হার্ট এ সমস্যা থাকলে বা হার্ট দুর্বল হলে সবসময়ই একটু সাবধানতার সাথে চলাফেরা করা সম্ভব।আপনার জীবনযাপন অনেকাংশেই আপনার হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী, তাই চলাফেরা ও পরিবেশ এর সাথে সাবধানতার সহিত নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।

মেহেদি হাসান (শাওন)

হৃদরোগ ও রক্তনালী অভিজ্ঞ

চেম্বার: ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব লি:

(১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)

ফোনঃ ০৯৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১

সক্ষাতের সময়: সন্ধ্যা ৬ টা – রাত ৮টা

(শনি থেকে বুধবার)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

4 × 2 =