সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়

সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়

সুস্বাস্থ্য পেতে সবসময় মনে রাখার বিষয়ঃ

  • প্রতিদিন কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লিটার পানি পান করুন।
  • পচা বাসি খাবার, রাস্তার পাশের খোলা খাবার খাবেন না। পানি ফুটিয়ে বা স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তৈরী নিরাপদ পানি পান করুন।
  • প্রত্যেক সুস্থ সবল ব্যক্তি প্রতি তিনমাস অন্তর এক ইউনিট রক্ত দান করতে পারেন।
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
  • ডায়রিয়া হলে পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত খাবার স্যালাইন খেতে থাকুন।
  • যদি আপনার খাবার রুচি কমে যায়, উপরের পেটে ব্যথা ও সেই সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে সন্দেহ করতে পারেন আপনি “ভাইরাল হেপাটাইটিস” রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া জ্বরের জন্য ‘প্যারাসিটামল ‘ খাবেন না।
  • ডেঙ্গু জ্বর সন্দেহ হলে এসপিরিন বা ডাইক্লোফেনাক জাতীয় ঔষধ খাবনে না, এতে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
  • অসতর্ক যৌন মিলনে ‘হেপাটাইটিস বি’ ও ‘এইডস’ ভাইরাসে আক্রান্ত হবার আশংকা আছে বলে এমন এমন অভ্যাস এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার পরিবারের কেউ যদি ‘হেপাটাইটিস বি’ ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাহলে পারিবারের অন্যরা দ্রুত প্রতিশেধক টিকা নিন।
  • চিনি কম খাবেন।
  • ফল ও শাক সবজি বেশি খাবেন।
  • নিয়মিত হাঁটা-হাঁটি করবেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমাবেন।
  • বাজে বা দুশ্চিন্তা করবেন না।
  • মাংস কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

  • তৈলাক্ত ও ভাজা-পোড়া খাবার খাবেন না।
  • ফাস্ট-ফোড ও ড্রিংক্স কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • মদ ও তামাকজাতদ্রব্য একেবারেই খাওয়া নিষেধ।
  • ঝগড়া বা রাগারাগি করবেন না।
  • সবসময় হাসি-খুশি থাকার চেষ্টা করবেন।
  • দৈনন্দিন কাজ কর্মে সঠিক দেহ-ভঙ্গি মেনে চলুন।
  • দেহে কোনো রোগ পোষে রাখবেন না।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।
  • নিয়মিত ধর্মীয় প্রার্থনা করুন।
  • একজন সুস্থ মা-ই শুধু সুস্থ সন্তান আশা করতে পারেন।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ এবং সুস্থ থাকারও প্রথম সোপান।
  • আপনি আপনার স্বাস্থ্যের খবর জানুন- রক্তের গ্রুপ, ওজন, উচ্চতা, ব্লাডপ্রেসার, রক্তের সুগার ও কোলেসটেরল কি বা কত? হেপাটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’ ভাইরাস আপনার রক্তে আছে কি?
  • আপনার স্বামী ধুমপায়ী হলে আপনি ও আপনার শিশুর সন্তান সবার জন্যই ক্ষতিকর।
  • জর্দা খাওয়া, গুল ব্যবহার, রং মেশানো খাবার ও অধিক মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করুন।

কখন ডাক্তারের পরামর্শ নিবেনঃ

  • কাশি, বমি, পায়খানা বা প্রস্রাবের সাথে রক্ত দেখা গেলে।
  • পুরাতন কাশির ধরন পরিবর্তন হলে।
  • হঠাৎ করে বুক ব্যথা, বুক ধড়ফড় বা শ্বাস কষ্ট হলে।
  • খাবার রুচি কমতে থাকলে, শরীরের ওজন কমতে থাকলে, অথবা বেশী করে খাওয়া সত্বেও শরীরের ওজন দ্রুত কমে গেলে।
  • রক্ত স্বল্পতা বা জন্ডিস দেখা গেলে।
  • মধ্য বয়স্কা মহিলার হঠাৎ করে পায়খানার অভ্যাস ( কোষ্ঠ কাঠিন্য বা পাতলা পায়খানা) পরিবর্তন হলে।
  • পেট ব্যথা, ফাপা ও সেই সঙ্গে বমি হলে।
  • পেট বা শরীরের কোথাও কোন গোটা অনুভব করলে।
  • দুর্ঘটনা ব্যতীত কোন অসুখে বংশের কারো অকাল মৃত্যু ঘটলে।
  • উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস রোগী হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে।
  • অল্প সময়ের জন্যেও জ্ঞান হারিয়ে গেলে।
  • শরীরের কোন অংশ অবশ অনুভব করলে, হঠাৎ করে চোখে দেখতে না পারলে বা একটি জিনিসকে দুটা আকারে দেখলে।
  • বমি বা সেই সাথে মাথা ঘোরার জন্য চলতে অসুবিধা হলে।
  • কোন কারণ ছাড়া চামড়ার নিচে রক্ত জমাট দেখা দিলে।
  • দীর্ঘ দিন যাবৎ শরীরের ঘা না শুকালে বা ঘনঘন ঘা হলে।
  • প্রস্রাব ঘনঘন হলে বা বাঁধা প্রাপ্ত বা বন্ধ হবার উপক্রম হলে।
  • মাথা ব্যথা ক্রমশ বেড়ে গেলে বা প্রথম থেকেই তীব্র ব্যথা হলে বা চল্লিশোর্ধ বয়সের কারো প্রথম মাথা ব্যথা দেখা দিলে।
  • আপনার ওজন কি বেশী? আগের বাচ্চা কি স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক ওজনের হয়েছিল? গর্ভাবস্থায় বাচ্চা কি মারা গিয়েছিল? বংশের কেউ কি ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন? তাহলে রক্তের সুগার অবশ্যই পরীক্ষা করুন।
  • হাঁপানি রোগে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়ের শ্বাসকষ্ট গর্ভস্থ বাচ্চার জন্য অধিক ক্ষতিকর।
  • গর্ভবতী অবস্থায় ডায়াবেটিস, হাঁপানি ও উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত মায়ের সুচিকিৎসা করলে গর্ভস্ত বাচ্চার বিপদের ঝুকি একবোরে কমানো যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

14 − 2 =