অতিরিক্ত গরমে একটি মারাত্মক স্বাস্থ্যগত সমস্যার নাম হিট স্ট্রোক। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত শীতল কোনো স্থানে যেতে হবে। যদি সম্ভব হয়, ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিতে হবে। আর সম্ভব হলে গোসল করতে হবে। যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে।চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রচণ্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে গেলে তাকে হিট স্ট্রোক বলে। সাধারণত গরমকালে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা বেড়ে যায় আর তাপমাত্রা বাড়ার কারণেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অধিক হারে। দীর্ঘ সময় সূর্যের নিচে অবস্থান করলে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে। এতে শরীরে অতিরিক্ত পানি শূন্যতা তৈরি হয়। তো চলুন জেনে নিই হিট স্ট্রোকে কি করবেন:
আপনার স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন তথ্য জানতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে সাথেই থাকুন
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসও হিট স্ট্রোকের জন্য দারুণ উপকারী। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা গেলে প্রথমেই পেঁয়াজের ব্যবহার করা উচিত। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ দেখা দিলে কানের পেছনে, পায়ের পাতায় এবং বুকে পেঁয়াজ বাটা লাগায়ে কিছুক্ষন রেখে দিন। এছাড়া এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
বাটার মিল্ক
গরমে শরীর সুস্থ রাখতে বাটারমিল্কের জুড়ি নেই। এতে থাকা প্রবায়োটিক, প্রোটিন এবং ভিটামিন শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। বাটারমিল্ক তৈরি করতে এক গ্লাস পানিতে দুই চাচম দই দিন। এবার এতে সামান্য লবণ ও জিরার গুড়া মেশান। প্রতিদিন দিনে অন্তত এক থেকে দুইবার এটি পান করুন।
কাঁচা আম
হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খুবই কার্যকরী। এটা দিয়ে জুস তৈরি করলে তা একই সঙ্গে শরীর সজীব করে এবং সুস্থ রাখে। হিট স্ট্রোক হলে কাঁচা আমের জুসও পান করতে পারেন। এজন্য প্রথমে পানিতে আম সিদ্ধ করুন। এবার সিদ্ধ আমগুলিতে পানি দিয়ে ভালভাবে ব্লেণ্ড করুন। এবার এতে সামান্য লবণ, জিরা এবং চিনি যোগ করে পান করুন।
তেঁতুলের শরবত
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং ইলেক্ট্রোলাইট আছে। এটি পানিশূন্যতা পূরণে ভূমিকা রাখে। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে তেঁতুলের শরবত খাওয়া যেতে পারে। এজন্য প্রথমে কয়েকটি তেঁতুল পানিতে সেদ্ধ করুন। এবার এটা ছেঁকে নিন। তেঁতুলের পানীয়তে মধু এবং সামান্য লবণ যোগ করুন। এই পানীয়টি দিনে দুইবার পান করলে শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে।
প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব। প্রাথমিকভাবে যা যা করতে পারেন যেমন:
- দ্রুত শীতল কোনো স্থানে চলে যান।
- যদি সম্ভব হয়, ফ্যান বা এসি ছেড়ে দিন।
- ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছে ফেলুন।
- সম্ভব হলে গোসল করুন।প্রচুর পানি ও খাবার স্যালাইন পান করুন।
- চা বা কফি পান করবেন না।
- সম্ভব হলে কাঁধে, বগলে ও কুচকিতে বরফ দিন।