চুল পড়া বন্ধে যে ২৪টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ

পোস্ট টি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

চুল পড়ার মত এই অসহ্য যন্ত্রণাটিতে ভোগেন না এমন মানুষ পাওয়া কঠিন সে ছেলে হোক বা মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই। কিন্তু আসলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চুল পড়ে থাকে নিজেদের কিছু ভুল এর কারণে বা অসাবধাণতার কারণে। আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমরা দেখাবো মোট ২৪টি বিষয় যেগুলো করলে আপনার চুলপড়া বন্ধ হবে প্রাকৃতিকভাবেই।

০১. প্রচুর পানি পান করুন।

০২. চুল ট্রিম করুন।

০৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

০৪. গরম পানিতে গোসল ত্যাগ করা উচিত।

০৫. হেয়ার ম্যাসাজ করুন।

০৬. চুল পড়তে থাকলে চুলে তেল দেয়া বন্ধ করুন।

০৭. চুলে হিট দিলে তা চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই হিট বন্ধ করুন।

০৮. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিমের সাদা অংশ, ভেড়ার মাংস, সয়াবিন, পনির, দুধ এবং দই চুলের জন্য উপকারী।

০৯. জেনেটিক, হরমোন পরিবর্তন বা মা হওয়ার পর চুল পড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভেজা চুলে চিরুনি দেবেন না।

১০. গোড়া শক্ত করে সব সময় চুল বাঁধবেন না।

১১. আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণ করুন, সবুজ এবং হলুদ সবজি ও ফল বেশি করে খান।

১২. চুল অতিরিক্ত আঁচড়াবেন না।

১৩. সূর্যের তাপ পরিহার করুন।

১৪. ধূমপান চুলের জন্যও ক্ষতিকর।

১৫. কুমড়োর বিচি ফাইটোস্ট্রোজেনের উৎস, যা চুল পড়া বন্ধ করতে সাহায্য করে। এক চা-চামচ করে সপ্তাহে তিন চামচ বেটে চুলে দিলে এক্ষেত্রে কার্যকর হবে।

১৬. মাথার চামড়ার ওপর নরম ম্যাসাজ চুলের গোড়ায় রক্ত চলাচল বাড়ায়, যা চুলের জন্য ভালো।

১৭. চিকন হওয়ার জন্য অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুলের জন্য ক্ষতিকর।

১৮. ভিটামিন সি, ই এবং বিটা ক্যারোটিন চুলের জন্য ভালো।

১৯. মেডিটেশন এবং যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়, যা চুলের জন্যও ভালো।

২০. চুলকে কিছু বিশ্রাম দেয়া উচিত। তাকে হাওয়ায় উড়তে দিন ইচ্ছামতো।

২১. কালারিং, সোজাকরণ ইত্যাদি একসঙ্গে করা উচিত নয়।

২২. উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত জাঙ্ক ফুডে চুল শক্ত হলেও ভঙ্গুর হয়ে যায়।

২৩. চিরুনির ফাঁক হওয়া উচিত বড়। ঘন দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা উচিত নয়।

২৪. কন্ডিশনার কেবল ত্বকের ওপর নয়, চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগিয়ে ১ থেকে ২ মিনিট রেখে পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এছাড়াও চুল পড়া বন্ধ করতে অবলম্বন করতে পারেন ৫টি বেশ কার্যকরি ঘরোয়া পদ্ধতি:

১। নারকেল তেলের ব্যবহার

নারকেল তেলের কী কী গুণ আছে, তা তো আমরা সবাই জানি। তবে, অনেকেই আছেন যারা চুল পড়া শুরু হলে চুলে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেন, যা একেবারেই উচিত নয়। কারণ নারকেল তেল চুলের সংখ্যায় বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে নারকেল তেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, খনিজ উপাদান এবং প্রোটিন থাকে, যা চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করতে পারে। নারকেল তেলের পাশাপাশি নারকেলের দুধও চুলে ব্যবহার করা যায়। পদ্ধতি- কিছুটা নারকেল তেল গরম করতে হবে। তারপর চুলের গোঁড়া থেকে আগা অবধি ভাল করে মালিশ করতে হবে। একঘণ্টা রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।

২। ডিমের ব্যবহার

ডিমের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করতে পারে। যেমন- সালফার, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়োডাইন, জিঙ্ক এবং প্রোটিন। এই প্রতিটি উপাদানই চুল বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। পদ্ধতি- একটি ডিমের সাদা অংশ নিতে হবে। এরমধ্যে এক চা চামচ অলিভ অয়েল মেশাতে হবে। এই দুই উপাদান ভাল করে মিশিয়ে একটি পেস্টের মতো বানাতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় লাগাতে হবে। ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি এবং শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।

৩। আমলকীর ব্যবহার

যাদের খুব চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা আছে, তাদের জন্য আমলকী খুবই উপকারি। কারণ, আমলকীর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। পদ্ধতি- আমলকীর রস বা আমলকী গুঁড়ো লেবুর রসের সঙ্গে মেশাতে হবে। এবার চুলের গোঁড়ায় লাগাতে হবে এবং শুকিয়ে না যাওয়া অবধি রেখে দিতে হবে। এবার অল্প গরম পানিতে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।

৪। পেঁয়াজের রসের ব্যবহার

পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা চুল লম্বা হতে এবং কোলাজেন উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। চুলের গোঁড়ায় পেঁয়াজের রস লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়। পদ্ধতি- একটি পেঁয়াজ টুকরো টুকরো করে কেটে তার ভেতর থেকে রস বের করে নিতে হবে। এবার সেই রস মাথায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখতে হবে। তারপর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে এবং চুল শুকিয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।

৫। রসুনের ব্যবহার

পেঁয়াজের মতো রসুনেরও উচ্চমাত্রায় সালফার থাকে। এটি ব্যবহার করলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পায়। পদ্ধতি- কয়েকটি রসুন থেঁতো করে নিতে হবে। এবার তার মধ্যে নারকেল তেল ঢেলে কয়েক মিনিটের জন্য ফুটিয়ে নিতে হবে। তারপর ঠাণ্ডা করে মাথায় মালিশ করতে হবে। ৩০ মিনিট রেখে তারপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুবার এটি করলে চুল ভালো থাকবে।

ডাঃ সাঈদা শারমিনা রহমান
চর্ম ও যৌন রোগ ইউনিট। চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
চেম্বার: ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনোস্টিক ল্যাব লি:
(১২/১ রিং রোড, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭)
ফোনঃ ০৯৬৬৬ ৭৭ ৪৪ ১১
সক্ষাতের সময়: রাত ৮টা – রাত ৯টা
(শনি, সোম, মঙ্গল, বুধ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

13 − three =