বাংলাদেশে কোমড়ে ব্যথা একটা সাধারণ সমস্যা প্রায় সব বয়সের নর-নারীর জীবনে কোন এক সময়ে কোমড়ে ব্যথা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না করলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। আমাদের দেশের জনগনের কাজের ধরণে দৈনন্দিন ও পরিবেশ কোমড়ের ব্যথার জন্য সহায়ক। একটু সর্তকভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করলে ব্যথা হবে না অথবা ব্যথা হলে নিজেই নিরাময় করা সম্ভব হতে পারে।
আমরা মেরুদন্ড মাথা থেকে পশ্চাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত এটা শরীরের সম্পূর্ণ ভার বহন করে। এবং শরীরের আকৃতি তৈরি করে। আমরা সামনে পিছনে অর্থ্যাৎ কাজ করলে মেরুদন্ডের নীচের অংশ অর্থ্যাৎ কোমড়ে অংশটি সামনে পিছনে নড়াচড়া করে। কিন্তু অতিরিক্ত সামনে পিছনে ঝুঁকে দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজ করলে কোমরে মাংশপেশী লিগামেন্ট এমনটি মেরুদন্ডের হাড়ের মাধ্যকার ডিস্ক বেড়িয়ে নার্ভের উপর চাপ দেয় ফলে কোমড়ে ব্যথা হয়।
এই চাপ বেশী হলে পায়ের পাতা পর্যন্ত ব্যথা ছড়িয়ে যায়। একে বলে Sciatica এ চাপ আরও বৃদ্ধি হলে নার্ভ হয়ে যায় এবং পায়ের শক্তি কমে যায় এমনকি অবশ হয়ে যেতে পারে।
প্রতিকার: কোমড় সোজা করে বসা ঝুঁকে কোন কাজ না করা, উচুনিচু বিছনায় না শোয়া ও ভারী বস্তু হাঠাৎ করে বহন না করা। কোমড়ে ব্যথা হয় না। যদি কোন কারণে ব্যথা হয়ে কোন উল্লোখিত নিয়ম কানুন মেনে চলাফেরা এবং হালকা কোমড়ে ব্যথা করলে এবং ব্যথার কিছু ঔষদ খেলে দ্রুত নিরাময় সম্ভব। মনে রাখতে হবে ওষুধ খাওয়ার চেয়ে সঠিক নিয়মে চলাফেরা করা ও হালকা কিছু ব্যায়াম করা ৭০% ব্যথা নিরাময় করে।
অবশ্যই ঔষুধ খাওয়ার ব্যাপারে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক খুঁজে দেয় ফিজিওফাইন্ডার।
অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদুর রহমান লাইজু
ব্যথা বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসক
ডিপিআরসি হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক ল্যাব
সিরিয়ালের জন্য: ০১৯৯৭৭০২০০১ অথবা ০১৯৯৭৭০২০০২